আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, যেভাবেই হোক সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেটি না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। এতে দেশে একটা অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটাতো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে কমিশনারের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন যে আপনারা তো ভোটের জন্য শতভাগ প্রস্তুত কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নির্বাচনমুখী মনে করছেন কিনা? জবাবে ওই কথাগুলো বলেন তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, আমরা কিন্তু সরকারি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী না। আমরা সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছি। সেই শপথ আমাদের পূরণ করতে হবে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও আরও অনেক দেশ আছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোকে (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তী সময়ে হয়তো তারা মনেও করতে পারে, বড় পরিসরে আসবে। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা নয়।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, আগামী মাসে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয়া হবে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোসার সদস্যদের দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদের ইনভাইট জানাব।
ভোটের আগে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাতো আশা করি আসবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমেরিকা আসবে না সেটাতো বলেনি। আমেরিকা আসলে আমরাতো খুশি। আমরাতো বলেছি সবাই আসেন। যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন, যে সমস্ত শর্ত আছে সেগুলো পূরণ করলে সবাই আসতে পারবে।
নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হয়তো অনেকে কথা বলছেন। পরিবেশ যাতে সুন্দর করা যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করব। পরিবেশের সবটা সুন্দর করার দায়িত্বতো আমাদের না। পরিবেশ সুন্দর করতে আমাদের যেটুকু দায়িত্ব সেটুকু আমরা করে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো সময় জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হবে ১ নভেম্বর।