জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত
‘Lifelong First Aid Learning’ থিমকে প্রতিপাদ্য করে বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস—২০২২ উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যুব রেড ক্রিসেন্টের জাতীয় সদরদপ্তর ও জাবি শাখার সহযোগিতায় প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম।
কর্মশালায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের গাড়ি চালক ও সুপারভাইজারদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে সচেতন করা হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে যেকোন দুর্যোগকালীন সময়ে রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা ছিল অগ্রগামী। ২০১৮ সালে অনুমোদনের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও তারা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যা প্রশংসনীয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ—উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক বলেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে শক্তিশালী করে। শুধু নিজেদের জন্য নয়, অপরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্যও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এই কর্মশালার মাধ্যমে আপনারা জানবেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিতের মাধ্যমে কিভাবে সুস্থ থাকা যায় এবং সেভাবে নিজের ও পরিবারে প্রয়োগ করবেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম বলেন, যেকোন দুর্ঘটনার প্রথম পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা গেলে ৪০ শতাংশ ঝুঁকি কমে। সেকারণে আমরা এই দিকটার উপরে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকি।
যুব রেড ক্রিসেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি সরকারের মানবিক সহায়তা সংস্থা। বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সরকারের যেকোন দুর্যোগ—দুর্বিপাকে আমরাই সর্বপ্রথম উপস্থিত থাকি। করোনাকালীন সরকারের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রতিদিন আমাদের প্রায় ৫ থেকে ১৫ হাজার সদস্য প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যুব রেড ক্রিসেন্টের ইনচার্জ মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, স্কুল—কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম চালু রয়েছে। ২০১৮ সালে জাবিতে রেড ক্রিসেন্ট অনুমোদন পায়। আমরা বিভিন্ন টিম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমরা ধাপে ধাপে আমাদের এই সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। গত ভর্তি পরীক্ষার সময় আমরা ৪ হাজার ২শ জনকে প্রাথমিক সেবা দিয়েছি। আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারি তাহলে প্রতিবছর ২ হাজার ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো।
এছাড়াও র্মশালায় কাজী শফিকুল আজম পরিবহন অফিসের গাড়ি চালকদের জন্য পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ছায়েদুর রহমানের কাছে ৬০ টি ফার্স্ট এইড কিট প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান, রেজিস্ট্রার(চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ এবং যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্য ও পরিবহন পুলের কর্মকর্তা-কর্মটারীরা।