মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিন যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জার্মানিতে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ও স্বাগতিক দেশের নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ দূতাবাস প্রাঙ্গনে উপর্যুক্ত আলোচনা সভায় যোগদান করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী।
সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মচারীর এবং প্রবাসী বাংলাদশিদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রদূত সকলকে নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা ও জাতীয় স্মৃতি সৌধের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর জাতীয় দিবসের আলোচনা কর্মসূচী আরম্ভ করা হয়, যেখানে দূতাবাসের সকল সদস্য, জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশি, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, এবং জার্মানিতে অবস্থানরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।
আলোচনার শুরুতেই দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে প্রেরিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের বাণীসমূহ পাঠ করেন। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতার আদর্শিক, রাজনৈতিক ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তির সংগ্রাম, অর্জিত স্বাধীনতা ও জাতীয় ত্যাগ এবং বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের বিষয় আলোচিত হয়।
অংশগ্রহণকারী আলোচকরা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপুর্ব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ চমৎকার এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি স্বদেশ, স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী তাঁর বক্তব্যে, শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক ও রাজনৈতিক অবদান তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে গত ৫১ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং বর্তমান সরকারের গৃহীত বিবিধ উন্নয়ন কর্মসূচীর ফলে বাংলাদেশ কিভাবে আজ “উন্নয়ন বিস্ময়” হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোকপাত করেন। তিনি তাঁর আলোচনায় আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতি, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
পরবর্তীতে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের জন্য, সকল শহিদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরিশেষে দূতাবাসের আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।