জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের ডাকা ১০ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির ওই সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন রওশন এরশাদ। এ মাসের মধ্যেই অসমাপ্ত জেলার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রওশনপন্থীরা।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে দলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আহ্বায়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন রওশনপন্থী জাপার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাপার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম। বৈঠকে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব ও বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্।
জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রেস উইংয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কাজী লুৎফুল কবীরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, পল্লিবন্ধু এরশাদ ও জাতীয় পার্টির ক্রান্তিকালে বেগম রওশন এরশাদ সব সময় অভিভাবক হিসেবে আবির্ভূত হয়ে আজও দল টিকিয়ে রেখেছেন। সেই মানুষকে নিয়ে যারা নানা ধরনের মিথ্যা-বানোয়াট গল্প সাজিয়েছেন, জাতি তাদের অতীত জানতে চায়।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৪ সালে যারা রওশন এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ নিতে বলেছিলেন, তারা আজ নতুন গল্প তৈরি করছেন। তাদেরই ইন্ধনে কোথাকার কোন টেকনিশিয়ান রওশন এরশাদের বিপক্ষে কথা বলার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন। এরশাদ ও রওশন এরশাদকে নিয়ে মিথ্যা নাটক বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে, যা ডিজিটাল আইন লঙ্ঘনের শামিল।
এ বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান জাপা নেতারা।
বৈঠকে জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে আরও সংযত ভাষায় কথা বলার পরামর্শ দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতারা।
তারা বলেন, আজ অবৈধ মহাসচিব যে ভাষা কথা বলছেন, তা একদিন বুমেরাং হবে। চুন্নু (জাপার মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু) রওশন এরশাদের গাড়ির পতাকা নামিয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে যে স্পর্ধা দেখাচ্ছেন, একদিন চেয়ারম্যানের দিকেই সেই আঙুল উঠবে। মনে রাখবেন পরগাছা বাড়তে দিতে নাই।
বৈঠকে নেতারা বলেন, যারা বেগম রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদকে নিয়ে কটু কথা বলছেন, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, এ সময় এসেছে পরগাছা উপড়ে ফেলা হবে, ইনশা আল্লাহ।
বৈঠকে জাপার সাবেক এমপি এমএ গোফরান, সাবেক এমপি ও ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ, সাবেক এমপি ও ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক এমপি ও প্রেসিডিয়াম জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক নুরু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।