তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের অধীনে ৪০০ টাকা বেতন গ্রহণ করতেন।
রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘সংবাদ শিরোনামে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ প্রমুখ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস। এদিন বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ রাষ্ট্রপতি ও বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করা হয় এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার সেদিন শপথ গ্রহণ করেছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ছিল বিধায় তিনি শপথ নিতে পারেননি। তবে তার নেতৃত্বেই এই সরকার গঠিত হয়েছিল। এই সরকারের অধীনেই পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। এই সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের অধীনেই চাকরি করতেন এবং ৪০০ টাকা বেতন পেতেন। অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারও ৪০০ টাকা বেতন পেতেন। এই সরকারের অধীনে আরও অন্যান্য দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমানসহ অন্যরা কেউ বিনা বেতনে যুদ্ধ করেনি। জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। নাকি পাকিস্তানিদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে? সেটি দলিল-দস্তাবেজ বলে প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে। তিনিও ৪০০ টাকা বেতন গ্রহণ করতেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বেতন গ্রহণ করেছেন। আজকে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি মুজিবনগর দিবস পালন করে না। অথচ জিয়াউর রহমান এই সরকারের চাকরি করতেন। তারা যে মুজিবনগর দিবস পালন করে না এটিও প্রকারন্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অস্বীকার করা, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামকে অস্বীকার করার শামিল। ইতিহাস বিকৃতির অনেক চেষ্টা করা হয়েছে সেজন্য এ তথ্যটি আপনাদের দিলাম।