ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি: ভিপি প্রার্থী আবিদুল ডাকসু নির্বাচন, নিয়ম ভেঙে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগ ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুলের বিরুদ্ধে ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের গ্রহণ করেছে, ইনশাআল্লাহ বিজয় হবে’ ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন হবে : আবিদুল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন আজ ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার ডাকসু নির্বাচনে ২ হাজারের বেশি পুলিশ, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার নাটোরের বনপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রত্যেকটি নেতাকর্মী অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবে’ আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রলোভন দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২

জুলাই শুধু মুক্তির মাস নয়, এটি আমাদের পুনর্জন্মের সময়: ড. ইউনূস

সাংবাদিক

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই আমাদের পুনর্জন্মের মাস, এটি শুধু স্বৈরাচার-মুক্তির মাস নয়। এখনও আমাদের সামনে সুযোগ আছে। জুলাইয়ের শিক্ষা এখনও তাজা আছে। মাঝেমধ্যে ভয় হয়, আমরা যেন এই শিক্ষা ভুলে না যাই।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশকে একেবারে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। শুধু ওপরে একটি প্রলেপ দিয়ে নয়, গভীর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতির ভেতরে এমন কিছু রয়ে গেছে— যত শাস্তিই দিই, সেটার বীজ যেন রয়েই যায়। সেই বীজ থেকে মুক্তি লাগবে। তাই কাগজে-কলমে সংস্কার নয়, দরকার গভীরতম সংস্কার।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে করা হবে যেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কখনও নীরব দমন বা দেশের জনগণকে ধ্বংস করা না যায়।’

লিখিত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়—বিচার মানে এই নিশ্চয়তা প্রদান করা যে, রাষ্ট্রক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না।’

রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এই ঐকমত্য এমন একটি ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করবে যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে। আমাদের লক্ষ্য একটাই—একটি বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিতে, মর্যাদায়, গর্বে ও স্বাধীনতায় বাঁচতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট পর্যন্ত, এমনকি গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়েও জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল।’

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
৫৪৬ Time View

জুলাই শুধু মুক্তির মাস নয়, এটি আমাদের পুনর্জন্মের সময়: ড. ইউনূস

আপডেটের সময় : ০৩:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই আমাদের পুনর্জন্মের মাস, এটি শুধু স্বৈরাচার-মুক্তির মাস নয়। এখনও আমাদের সামনে সুযোগ আছে। জুলাইয়ের শিক্ষা এখনও তাজা আছে। মাঝেমধ্যে ভয় হয়, আমরা যেন এই শিক্ষা ভুলে না যাই।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশকে একেবারে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। শুধু ওপরে একটি প্রলেপ দিয়ে নয়, গভীর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতির ভেতরে এমন কিছু রয়ে গেছে— যত শাস্তিই দিই, সেটার বীজ যেন রয়েই যায়। সেই বীজ থেকে মুক্তি লাগবে। তাই কাগজে-কলমে সংস্কার নয়, দরকার গভীরতম সংস্কার।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে করা হবে যেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কখনও নীরব দমন বা দেশের জনগণকে ধ্বংস করা না যায়।’

লিখিত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়—বিচার মানে এই নিশ্চয়তা প্রদান করা যে, রাষ্ট্রক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না।’

রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এই ঐকমত্য এমন একটি ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করবে যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে। আমাদের লক্ষ্য একটাই—একটি বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিতে, মর্যাদায়, গর্বে ও স্বাধীনতায় বাঁচতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট পর্যন্ত, এমনকি গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়েও জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল।’