জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এখন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশীয়ভাবে কেনার বদলে সম্মিলিতভাবে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৭ সদস্যের জোট। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার তুলে দেয়া হয়েছে ইইউ’র হাতে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঊর্দ্ধসীমা স্থির করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ও তর্কবিতর্কের পর এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, এবার সদস্য দেশগুলোর জ্বালানি মন্ত্রীদের সঙ্গে মিলে প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া প্রস্তুত করবে কমিশন।
এর পাশাপাশি ইইউ আরও একটি জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্তর্জাতিক গ্যাসের বাজারে সদস্য দেশগুলোর পক্ষে এককভাবে দরকষাকষি করে সুবিধাজনক মূল্য স্থির করা কঠিন হয়ে উঠছে৷ তাই এবার যৌথভাবে গ্যাস কেনার পথে এগোবে ইইউ।
তবে সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ধার্য গ্যাসের ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি খতিয়ে দেখা হবে৷ সেই সঙ্গে, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার ক্ষেত্রে মূল্যের নতুন কাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইইউ নেতারা৷
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেন, সম্মিলিতভাবে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত সহজে কার্যকর করা গেলেও গ্যাসের দাম যেন ঊর্দ্ধসীমা না স্পর্শ করে, তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।
প্রায় ১০ ঘণ্টা তর্ক-বিতর্কের পর এমন ঐকমত্যের ফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ইইউ নেতারা৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, বর্তমান জ্বালানি সংকট সম্পর্কে যাবতীয় মতভেদ দূর করে শীর্ষ নেতারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছেন৷
গ্যাসের মূল্য কমলে সরবরাহে ঘাটতি ও গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিল জার্মানি৷ তবে বাকিদের চাপে শলৎস সেই প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছেন৷ কিন্তু গ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছেণ তিনি।
ইইউ জ্বালানি মন্ত্রীরা বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে পারবেন বলে আশাপ্রকাশ করে শলৎস বলেন, প্রয়োজনে তারা আবার আলোচনায় বসবেন।