ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তাদের কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর নুরুল হক নুর আহত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে আবদুজ জাহের (২৫), তোফায়েল আহমেদ (২২), রাজিব শাহ (২৭), রাকিবুল হাসান (২৮), তাওহিদুল ইসলাম (২৮), মেহেদী হাসান (২৩), আকাশ চৌধুরি (২২), সাব্বির হোসেন (২৬), সাদ শিকদার (২৫) ও মো. ইউসুফের (২৩) নাম পাওয়া গেছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের সবাই আশঙ্কামুক্ত। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাঁড়াতেই দেয়নি। রাজু ভাস্কর্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আসাদ বিন রনি জানান, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাদ্রাসা ছাত্র রেজাউল করিম হত্যার বিচার এবং সুনামগঞ্জের হাওড় থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জনকে আটক করার প্রতিবাদে তারা আজ কর্মসূচি ডাকেন। শাহবাগ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে টিএসসিতে যান পূর্ব ঘোষিত সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের জন্য। টিএসসিতে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে গণধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ অসংখ্য নেতা কর্মী আহত হন।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে এই হামলার বিচার দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে এটা মিথ্যা কথা। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়। তখন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করে।