#মতিঝিলের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন সুমন শিকদার মুসা বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।
শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলায় সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে ১৫ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। তারা এই মামলায় গ্রেপ্তার ১৩ জনকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে এনে সুমন শিকদার ওরফে মুসার মুখোমুখি করবে।
এসময় ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মুসা। হাফিজ আক্তার বলেন, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুটার মোহাম্মদ মাসুম ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আদালতে তার দেয়া জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনা ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসাকে উল্লেখ করেন। তার পর থেকেই মুসাকে আমরা খুঁজছিলাম।’
এর আগে এলাকায় দলীয় ও অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম। সে সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতি (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
হাফিজ আক্তার বলেন, টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘটনার আগেই সুমন শিকদার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। আমরা তদন্তের একপর্যায়ে জানতে পারি, তিনি ওমানে অবস্থান করছেন। তখন আমরা ইন্টারপোল বাংলাদেশ এনসিবি ওমানে ইন্টারপোল এনসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওমান পুলিশ মুসাকে আটক করার পর সেখানকার পুলিশ আমাদের এসকর্ট পাঠিয়ে নিয়ে আসার জন্য বলে।
তখন ডিবি মতিঝিল বিভাগের দুজন এডিসি ও পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টারপোল ডেস্কের একজন সহকারী কমিশনারকে ওমান পাঠানো হয়। তারা গতকাল মুসাকে নিয়ে দেশে ফেরেন।
হাফিজ আক্তার আরও বলেন, আমরা মুসাকে ১৫ দিনের রিমান্ড চাইব। আগে গ্রেপ্তার আসামিদেরও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগে গ্রেপ্তার আসামিদের দেয়া তথ্য ও সুমন সিকদার কাছে পাওয়া তথ্য যাচাই–বাচাই করা হবে এবং মুখোমুখি করা হবে।
এদিকে টিপু হত্যায় সুমন সিকদারকে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু নিহত টিপুর স্ত্রী বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, সুমন সিকদার প্রধান পরিকল্পনাকারী হতে পারেন না। এর পেছনে অন্য কারও হাত রয়েছে।
এ বিষয়ে ডিবি প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাফিজ আক্তার বলেন, মুসাকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব। তখন অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসবে।