এফবিআই এজেন্টরা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডা এস্টেটে তল্লাশির সময় ‘টপ সিক্রেট’ হিসেবে চিহ্নিত রেকর্ডগুলো উদ্ধার করেছে। তদন্তে শুক্রবার প্রকাশ হওয়া নথি অনুসারে এটি মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
সীলমোহর না করা ওয়ারেন্ট এবং সম্পর্কিত উপকরণগুলি ফ্লোরিডার একজন বিচারককে দেখানোর পর এজেন্টরা উদ্ধার হওয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শ্রেণীবদ্ধ ফাইল নিজেদের জিম্মায় নিয়ে যায়, যা ইতিমধ্যেই তিক্তভাবে বিভক্ত দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছে।
এটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড ব্যক্তিগতভাবে এফবিআইকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্টের ফ্লোরিডার মার-এ- লাগো বাসভবনের ব্যক্তিগত অফিস ‘৪৫ অফিস’ এবং স্টোর রুম তল্লাশির ওয়ারেন্ট অনুমোদন দেন।
ওয়ারেন্টে তিনটি অপরাধমূলক আইন লঙ্ঘন করে ‘অবৈধভাবে ধরে রাখা’ স্পর্শকাতর নথি এবং রেকর্ড বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়। যার মধ্যে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে। যা জাতীয় নিরাপত্তা তথ্য বেআইনিভাবে পাওয়া বা ধরে রাখাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে।
২০২৪ সালে হোয়াইট হাউসে ফেরার প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ফ্লোরিডার বাড়িতে এফবিআইয়ের তল্লাশির নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, অনুসন্ধানের সময় প্রাপ্ত কোন নথি ‘গোপনীয়’ নয়।
ট্রাম্প তার ট্রুথ স্যোসাল প্লাটফরমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তাদের কিছু ‘জব্দ’ করার দরকার নেই।’ ‘রাজনীতি না খেলে এবং মার-এ-লাগোতে না গিয়ে তারা যে কোন সময় এটি সংগ্রহ করতে পারতো।’
আইনি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে ওয়ারেন্টে গুপ্তচর বৃত্তি আইনের উল্লেখ করা হলেও সম্ভাব্য কোনো অভিযোগ অস্পষ্ট থাকলে ট্রাম্পকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য সন্দেহ করা যায় না।