কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একাধিক স্থানে সশস্ত্র দুই ডাকাতদলের সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ডাকাতদলের গুলিতে নিহত হয়েছেন প্রতিপক্ষের নেতৃত্বে দেওয়া ডাকাত সর্দার আমির হোসেন (৪৫)।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইপক্ষের কয়েকজন ডাকাত সদস্য আহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা এই তথ্য নিশ্চিত করলেও পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে কতজন ডাকাত বা স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে গুলিতে ডাকাত সর্দার আমির হোসেন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ।
সোমবার (২৩ মে) রাত পৌনে ১০টার দিকে ইউনিয়নের মিঠাছড়ি ও মালুমঘাট বাজার এলাকায় দফায় দফায় এই গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মিঠাছড়ি এলাকায় দুই ডাকাতদলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে নিহত হয় ডাকাত সর্দার ডুলাহাজারার রিজার্ভপাড়ার আমির হোসেন। এ সময় অপর ডাকাতদলের প্রধান হেলাল উদ্দিন দ্রুত মিঠাছড়ি এলাকাত্যাগ করে মালুমঘাট বাজারের দিকে চলে আসে।
একইসাথে পিছু নেয় নিহত ডাকাত সর্দার আমির হোসেনের সতীর্থরাও। দ্বিতীয় দফায় মালুমঘাট বাজারে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে আমির হোসেন দলের সদস্যরা। এ সময় মালুমঘাট বাজারের অন্তত ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় ডাকাতদলের সদস্যরা।
ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল ডাকাত সর্দার ও অন্তত ৩০ মামলার পলাতক আসামি আমির হোসেন। পাশাপাশি হেলাল উদ্দিন নামের আরেক দুর্ধর্ষ ডাকাতের সঙ্গে আমির হোসেনর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে দুই ডাকাতদল দফায় দফায় সংঘর্ষে ও গোলাগুলিতে জড়ায়।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ডাকাত সর্দার আমির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’