ইউরোপ ব্যুরো:
ব্রিটেনে অবৈধ পথে আসা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে অনড় বৃটিশ সরকার। অভিবাসীদের ডিপোটেশন প্রক্রিয়ায় সায় দিয়েছিল দেশটির আদালতও। কিন্তু রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের প্রথম প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত।
প্রথম ফ্লাইটে সাত অভিবাসীর একটি দলকে রুয়ান্ডায় পাঠানোর সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছিল বরিস জনসনের সরকার। এরই মধ্যে ছোট ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছিল প্রায় ১০০ অভিবাসী। সমুদ্র পথে পাড়ি দেয়া এমন ২৫০ জন অভিবাসীকে ডোভার তীরে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও রুয়ান্ডার মধ্যে আশ্রয়প্রার্থী স্থানান্তরের একটি বিতর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় ব্রিটেনে আশ্রয় নেয়া দুই শতাধিক অভিবাসীকে ৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে মধ্য আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় সরিয়ে নেয়া হবে।
তবে শুরু থেকেই এ চুক্তির বিরোধিতা করে আসছিল দাতব্য সংস্থা এবং ধর্মীয় নেতারা। তাদের দাবি এটি অমানবিক, এমনকি চুক্তিটি কার্যকরে লন্ডনের আদালতে একাধিক আইনি চ্যালেঞ্জের সাথে লড়াই করতে ব্রিটিশ সরকারকে।
এছাড়া কিছু লোককে ডানজেনেস এবং রামসগেটেও আনা হয়েছে।
মহিলা এবং শিশুদের ডোভার উপকূলে আনা হয়েছে, কিন্তু অভিবাসীদের অধিকাংশই যুবক। এদিকে ডানজেনেস এবং এবং রামসগেটে আরও অভিবাসী আটক করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
সরকার অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে অভিবাসী সংকট নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও এই ডোভারেই বুঝা যায় পরিস্থিতি কতটা কঠিন।
সর্বশেষ আড়াইশসহ এবছর এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ছোট নৌকায় করে চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে। এই সময়ে যা ছিল আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। যেখানে ২০২০ এবং ২০২১ এ যথাক্রমে মোট ৮ হাজার ৪০০ এবং ২৮ হাজার অভিবাসী চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে।
খবর বিবিসির।