মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের জেরে এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে ১০২ পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার ৩টি এবং আশুলিয়া ও মিরপুরের ৯৯টি কারখানা রয়েছে। বন্ধ এসব কারখানা খুলে দিতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সংগঠনটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ জানায়, কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার সবার সহযোগিতায় ৩টি পোশাক কারখানা বাদে সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আশুলিয়া এবং মিরপুরের প্রায় ৯৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতেও আলোচনা চলছে। শ্রমিকরা কাজ করতে চাইলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া পোশাক শিল্প অধ্যুষিত অন্যান্য এলাকা যেমন- টঙ্গী, গাজীপুর, শ্রীপুর, মাওনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ, ডিএমপি, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকাগুলোর সব পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে এবং সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় আছে।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে, শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী গুরুত্বপূর্ণ খাত পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কারখানাগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে ইতিবাচক জনমত প্রচার করে গণমাধ্যমগুলো শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানায় বিজিএমইএ। একই সঙ্গে পোশাক শিল্পে সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় রেখে শিল্পকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, সরকার, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশসহ সব আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এবং স্থানীয় জনসাধারণ সবার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।