ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুর ও কর্মী-সমর্থকদের হুমকি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে পৌর এলাকার কাতলাপুর মহল্লায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্প ও সোমবার রাতে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্পে গিয়ে তালা ও সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হয়।
সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাবেক যুবদল নেতা বাবু ও পলাশ।
অভিযোগ উঠেছে, সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এই হামলার ঘটনা ঘটায় ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের কর্মী পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি আব্দুল হালিম এ অভিযোগ করে বলেন, তিনি পৌরসভার ৭৩টি কেন্দ্রের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে পৌরসভার কাতলাপুর এলাকার ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়াও আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন তারা। আমরা থানা ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করবো।
এদিকে, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (ট্রাক প্রতীক) নির্বাচনি অফিস স্থাপনে বাধা ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ এনে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌর নামাগেন্ডা এলাকায় আমার নির্বাচনি অফিস স্থাপনে বাধা ও কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে নৌকার কর্মী ও সমর্থকরা। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেলের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
সাভার মডেল থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, কাতলাপুর এলাকার ঘটনাটি আমি জানি না। তবে নামাগেন্ডার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। মূলত এখনতো অভিযোগ আসতেই থাকবে। আমরা যথাযথ তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের নিকট কেউ মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।