জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। জীবন দিয়ে হলেও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর আরামবাগে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুরুতে কিছুটা সংঘাত হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সমাবেশ ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। বেলা ২টায় মূল সমাবেশ শুরু হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, আজ ২৮ অক্টোবর সেই ঐতিহাসিক দিন, যেদিন লগি-বৈঠা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের হায়েনার মতো পিটিয়ে হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ। সাপের মতো মেরেছিল। আমরা সেই ২৮ অক্টোবরের প্রতিশোধ নিতে চাই। তবে হত্যার বদলে হত্যা নয়। আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আইন চালু করে প্রতিশোধ নেব ইনশাআল্লাহ। আমাদের কোনো শহিদ ভাইয়ের এক ফোঁটা রক্তও বৃথা যেতে দেব না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। তবে তা কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নয়। নির্বাচন অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক দল। আমরা অনেক লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আমরা আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করেছি। আমরা কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংগ্রাম করেছি। অথচ আজ আওয়ামী লীগের সুর ভিন্ন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ-সদস্য এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ।