হালিম সৈকত, কুমিল্লা।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের পোড়াকান্দি গ্রামে জোরপূর্বক জায়গা দখল ও পুড়িয়ে হত্যা করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে দুই সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ১৫ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১২ টায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মৃত মুতি মিয়ার চার ছেলে। তাদের মধ্যে শাহজালাল ও আলাউদ্দিনকে বাড়ির পনের শতক রেজিস্ট্রি করে দেন এবং অন্য দাগের ১১ শতক ও ৮ শতক মোট ১৯ শতক মৌখিকভাবে অপর দুই ছেলে আবু মুছা ও মোশাররফ হোসেনকে দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এখন আবু মুছা ও মোশাররফ হোসেন মিলে ১৫ শতকের অন্দরে জায়গা দখল করতে চায়।
এ লক্ষ্যে তারা শাহজালাল ও আলাউদ্দিনের পাকের ঘর ভেঙে ফেলে এবং ৫-৬ টির মতো পেঁপে গাছ, আম গাছ কেটে ফেলে জোরপূর্বক ঘর উঠাতে চায়।
এই বিষয়ে বাহরাইন প্রবাসি শাহজালালের স্ত্রী মিতু আক্তার (১৯) বলেন , আমরা বড় অসহায়। আমাদের বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ নাই। একা পেয়ে মুছা ভাই ও মোশাররফ ভাই আমাদেরকে মারতে আসছে। আমার মা বাবাকে মোবাইল করে বলে, আপনার মেয়েকে নিয়ে যান না হয় আগুনে পুড়ে যাবে। হুমকি ধমকি দিচ্ছে আমাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে। সকাল থেকে ঘরে বন্দী আছি, তাদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না।
মুতি মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার বলেন, আবু মুছা ও মোশাররফ ভাই সকাল থেকে উৎপাত শুরু করেছে। সকল গাছগুলো কেটে ফেলেছে। তারা জোর করে জায়গা দখল নিতে চায়। আমার বাবা তাদের দুজনকে মৃত্যুর আগে জায়গা ভাগ করে দিয়ে গেছে। এখানে তাদের কোন অংশ নাই।
এক প্রশ্নের জবাবে, মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি আমার ছোট ভাইয়ের বউ মিতুকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেইনি। মিথ্যা কথা বলছে। আমি প্রবাসে ছিলাম, তারা আমাকে ঠকিয়েছে।
আবু মুছা বলেন, আমার বাবাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমার দুই ভাই ও বোনেরা মিলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজেদের নামে ১৫ শতক জায়গা লিখে নেয়। মৃত্যু হলে হোক, আমরা আমাদের প্রাপ্য অধিকার চাই। প্রয়োজনে মার্ডার হবে, তাতে কোন সমস্যা নাই? আমাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীন চন্দ্র দাসকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ যাচ্ছে। কোন পক্ষই মামলা করেনি।
হালিম সৈকত