ওয়ানডে বিশ্বকাপে এবার সব থেকে ধারাবাহিক দুই দল ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম পর্বে নিজেদের সব ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে বাকি সব ম্যাচেই। ভারতের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শীর্ষ চার নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।
শীর্ষ স্থান দখলে আগে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির রেকর্ডগড়া শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্নিতে ৮৩ রানে অলআউট হয় বাভুমারা। ফলে ২৪৩ রানে বিশাল ব্যবধানে হেরে লজ্জার রেকর্ড গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতের দেওয়া ৩২৭ রানে লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাটে আসে কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৬ রানে ৫ করে সাজঘরে ফেরেন ডি কক। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক টেম্বাও। আউট হবার আগে ১১ রান করেন তিনি।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরা প্রোটিয়াদের তৃতীয় উইকেটে ধাক্কা সামাল দেবার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও রাসি ফন ডার ডুসেন। তবে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেনি এই জুটি। ১৩ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৩৫ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেণ মার্করাম। এরপর ৫ রানের ব্যবধানে আরও দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় বাভুমার দল।
পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানেই গুটিয়ে যায়। ভারতের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা।
এর আগে টসে জিতে ইডেনে ব্যাট করতে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার। প্রথম দশ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তুলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা। তবে ১১তম ওভারে কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন গিল। দলীয় ৯৩ রানে দুই উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। মিডেল ওভারে প্রোটিয়া বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটার। দুজনে মিলে ১৩৪ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন। ৮৭ সালে ৭৭ রান করে নিশ্চিত শতক বঞ্চিত হয়ে দলীয় ২২৭ রানে ৩৭তম ওভারে সাজঘরে ফিরেন আইয়ার।
এরপর এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের জন্মদিনে ইতিহাস রচনা করেন বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপে আজ নিজেদের অষ্টম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ওয়ানডেতে কোহলির শতকের সংখ্যা ছিল ৪৮টি। কলকাতায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৪৯তম ওভারে ক্যারিয়ারের ৪৯তম শতক হাঁকিয়ে ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন টেন্ডুল্কারকে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট।