টাইগারদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে সিলেটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতায় আনলো শান্ত-লিটনরা।
লিটন দাস ও সৌম্য সরকার শক্ত ভিত গড়ে দেওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। । শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ২৫ বলে ৩২ রান এবং শান্তর ৩৮ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেট ও ১১ বল হাতে থাকতেই জয়ের দেখা পায় টাইগাররা।
বাংলাদেশের একশ
তাওহীদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে বাংলাদেশ একশ ছুঁলো। ১২তম ওভারে দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে শান্ত সিঙ্গেল নিয়ে দলীয় স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে নেন।
১৬৬ রানের লক্ষ্য তাদের সামনে। এরই মধ্যে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার আউট হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ সহজেই লক্ষ্যে ছুটছে।
সৌম্যর পর পাথিরানার শিকার লিটন
মাথিশা পাথিরানা টানা দুই ওভারে উইকেট পেলেন। প্রথমে সৌম্য সরকারকে, পরে লিটন দাসকেও ফেরালেন শ্রীলঙ্কার পেসার। ৬৮ ও ৮৩ রানে দুই ওপেনারের বিদায় দেখলো বাংলাদেশ। স্কয়ার লেগে লিটনের দারুণ ক্যাচ নেন চারিথ আসালাঙ্কা। ২৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রানে থামলেন ডানহাতি ব্যাটার।
শক্ত জুটি গড়ে সৌম্যর বিদায়
সৌম্য সরকার শক্ত ভিত গড়ে দিয়ে বিদায় নিলেন। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে মাথিশা পাথিরানার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় হয়। মিডউইকেটে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ক্যাচ হন বাংলাদেশি ওপেনার। ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্য করেন ২২ বলে ২৬ রান। ৫ চার ছিল তার ইনিংসে।
পাওয়ার প্লেতে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ
প্রথম ৬ ওভারের খেলা শেষ। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশ কোনও উইকেট না হারিয়ে করেছে ৬৬ রান। সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের ব্যাটে শক্ত জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ। লিটন ৩১ ও সৌম্য ২৫ রান করে অপরাজিত আছেন।
সৌম্য জীবন পেলেন, আম্পায়ারকে ঘিরে ধরলো শ্রীলঙ্কা
দারুণ শুরুর পর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ভাঙতে বসেছিল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। সৌম্য সরকারের বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন জানায় শ্রীলঙ্কা। আম্পায়ার গাজী সোহেল আউট দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন বাংলাদেশি ওপেনার। আল্ট্রা এজে বলে স্পাইক দেখে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু থার্ড আম্পায়ারের মতে, বল ও ব্যাটের মাঝে সূক্ষ্ম ফাঁক ছিল। মাঠের আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত বদলাতে বলেন থার্ড আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল। চোখেমুখে বিস্ময় নিয়ে আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন চারিথ আসালাঙ্কারা। মিনিটখানেক যুক্তিতর্কের পর পরের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড: আভিষ্কা ফার্নান্ডো, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, দাসুন শানাকা, মাহিশ ঠিকশানা, দিলশান মাদুশাঙ্কা, বিনুরা ফার্নান্ডো, মাথিশা পাথিরানা।