নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদ্যাপনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশের কর্মকর্তাদের প্রতি মাঠ পর্যায়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ।
সোমবার (২৬ সেপ্টেস্বর) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
কমিউনিটি পুলিশের সদস্য এবং বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট পূজা উদ্যাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে পূজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ দেশের মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হবে।’
দুর্গাপূজা নিরাপদে উদ্যাপনের লক্ষ্যে পুলিশ প্রাক পূজা, পূজা চলাকালীন ও পূজা পরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সভায় জানানো হয়। এ ছাড়া সকল পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং দরকার হলে হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে গেট স্থাপন, পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের ব্যবস্থা করা, পূজামণ্ডপ ও বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করাসহ আজান ও নামাজের সময় উচ্চশব্দে মাইক ব্যবহার না করার জন্য পূজা উদ্যাপন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জে. এল. ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ ও সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী কল্পেশানন্দ প্রমুখ এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সকল মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারেরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
এ বছর সারা দেশে প্রায় ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হবে।