দেওয়ানগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি.এম কলেজের সংবাদ সম্মেলন
দেওয়ানগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি.এম কলেজের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠান বিরোধী কার্যক্রমের প্রতিবাদে মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে কলেজ কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দ জানান, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার ৮ অক্টোবর প্রকাশিত সংবাদে মোঃ মাজহারুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গের নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
বক্তব্যে বলা হয়, মাজহারুল ইসলাম দীর্ঘদিন দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে কলেজে অন্যায়ভাবে চাকরির জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে চাকরির জন্য ডিও লেটার সংগ্রহ করেছিলেন বলেও দাবি করা হয়।
অধ্যক্ষ বলেন, “মাজহারুল ইসলাম রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষেই সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তার বিরুদ্ধে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কলেজের ৪৩ শতাংশ জমি শিক্ষক–কর্মচারীদের অর্থে মাজহারুল ইসলামের পিতার কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে, তাই তার কোনো মালিকানা নেই। এছাড়া কলেজ থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বহিষ্কার বা ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার’ ঘটনা ঘটেনি বলে স্পষ্ট করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, মাজহারুল ইসলাম অতীতে কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি সহকর্মী ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট আহসান হাবীব রুবেলের ওপর হামলা চালান, মারধর করেন। এ ঘটনায় রুবেল গুরুতর আহত হন এবং এ বিষয়ে থানায় মামলা চলমান রয়েছে। পুলিশ তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হয়েও মাজহারুল ইসলাম এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন এবং কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ সাদা ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান সাজুর নামে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশিত ‘ভিত্তিহীন বক্তব্যের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।