দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (১৪ মে) বিকেল পাঁচটায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কর্তৃক আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগে নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক একআলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে মানুষের মাথাপিছু আয় প্রায় তিনহাজার ডলার ছুঁই ছুঁই। আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে চাই। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি অব্যাহত ভাবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান তাহলে ২০৪১ সালের আগেই দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে।
তিনি বলেন, গ্রামে গ্রামে বিউটি পার্লার স্থাপিত হয়েছে। সেখানে অনেক মেয়ের কর্মস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ উদ্যোগকে সরকার উদ্বুদ্ধ করেছে। গ্রাম আর শহরের মেয়েদের দেখে চেনার কোনো উপায় নেই। যে কোন অনুষ্ঠানে তারা সুন্দর করে সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে যাচ্ছে। এটিই উন্নয়ন। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের জনগণ কি কখনো ভেবেছিলো? নারী বিচারপতি, ডিআইজি, ডিসি হবে? কিন্তু এখন তা সম্ভব হয়েছে। নারীদের পিছিয়ে রেখে দেশে উন্নয়ন সম্ভব না। জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশে নীরব বিপ্লব হয়েছে।
তিনি বলেন, এক সময় গ্রামগঞ্জে আর শহরের অলিগলিতে ‘মা আমাকে বাসি খাবার দেন’ বলে আওয়াজ শোনা যেতো। এখন সে আওয়াজ শোনা যায় না। এখন কাউকে বাসি খাবার দিতে চাইলেও সে মারবে। দেশে কোনো গরীব নেই। এখন গরীব খোঁজে পাওয়া দুষ্কর। গরীব পেতে হলে শাহ আমানতের মাজারে যেতে হবে৷ সেখানেও গরীবদের খাওয়াতে হলে সিরিয়াল নিতে হয়। তাদেরকে খাবারের মেন্যু কি সেটা আগে বলতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, দেশে কোনো সমস্যা দেখা দিলে কিছু অর্থনীতিবিদ গজায়। এখন তাদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তারা ভুলেও কখনো ফকিরকে ভিক্ষা দেননি। কিন্তু তারা ভুল ধরতে বসে থাকে। দেশে যখন কোনো সমস্যা দেখা দেয় তখন তাদের উদ্ভাব হয়।