প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে শিল্প খাতের সকল উৎপাদন কার্যক্রম আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর তথা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা উপযোগী করার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
আজ রবিবার (২ অক্টোবর) ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদনশীলতা’।
শেখ হাসিনা বলেন, উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন ঘটাতে হলে বাংলাদেশকে উন্নত দেশগুলোর মডেল অনুসরণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতার সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। বৈশ্বিক অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দেশের সর্বক্ষেত্রে অর্থাৎ তথ্য ও প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে বহুল আলোচিত বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অন্যতম। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয়করণের একটি চলমান প্রক্রিয়া। উৎপাদনশীলতাই উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করতে হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। আগামী বিশ্বে তারাই নেতৃত্ব দেবে; যারা এই বিপ্লবে সফলকাম হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হতে হবে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি। তবেই দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আসবে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও কৌশলগত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) দেশব্যাপী জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপন করছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করে দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।