মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনার পর তাঁকে গ্রেপ্তার ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। এক বিবৃতিতে অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ বিবৃতিতে বলেছে, সাম্প্রদায়িক কূপমণ্ডূকতা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে গ্রাস করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো হচ্ছে। এটা একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। একজন শিক্ষক যদি ক্লাসে মুক্তভাবে কথা বলতে না পারেন, ক্লাসে যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় তা খুবই দুঃখজনক। মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিপদের মধ্যে ফেলা হয়েছে। একজন শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের জন্য এভাবে কারাগারে নিয়ে যাওয়ায় সমাজে অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
বিবৃতিতে বলা হয় একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরন রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই উদারনৈতিক সমাজ গঠনে মনোনিবেশ করেছেন। এই সময়ে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াতে চায়।
বিবৃতিতে একই সঙ্গে তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দারের নাজেহালের ঘটনা ও নওগাঁর মহাদেব উপজেলায় দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে দায়ী করে হিজাব পরার ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়ানোর নিন্দা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অ্যারোমা দত্ত এমপি, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী
শিকদার (অব.), এ. কে. এম. আতিকুর রহমানমো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল জন গোমেজ (অব.), ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, , বীর মুক্তিযোদ্ধা সি. কে দাস, রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, অধ্যাপক ডা. নাসিম আখতার, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ড. অসীম সরকার, ডা. নুজহাত চৌধুরী, জয়শ্রী বন্দোপ্যাধায়, অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস, অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, মো. বেলাল হোসেইন, হেলাল উদ্দিন, মিহির কান্তি ঘোষাল, মোহাম্মদ আসাদুজ্জমান চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বাবু, মো. আনিসুজ্জামান মানিক, আলী হাবিব প্রমুখ।