করোনাকালেও দেশের ইতিহাসে রেকর্ড চা উৎপাদন হয়েছে। ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি বাগানে চায়ের মোট উৎপাদন প্রায় পৌনে ১০ কোটি কেজি। অনুকূল আবহাওয়া আর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের ফলে উৎপাদন বেড়েছে বলে জানালেন বাগান মালিকরা। তবে চোরাই পথে আসা নিম্নমানের চায়ের কারণে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের।
সিলেটের মালনীছড়া বাগান দিয়ে এই অঞ্চলে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয় ১৮৫৪ সালে। আর বর্তমানে দেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। যা সিলেট, চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গ ও পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত চা বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবছর সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। চা উৎপাদনে রেকর্ড গড়ায় খুশি শ্রমিকরাও।
বাগান মালিকরা জানালেন, অনুকুল আবহওয়ায় চায়ের উৎপাদন ভালো হয়েছে। অনাবাদী জমিগুলো চা বাগানের আওতায় আনা গেলে উৎপাদন আরো বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।
নানামুখী পদক্ষেপের ফলে উৎপাদন বেড়েছে বলে জানালেন, চা বোর্ডের পরিচালক। চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক জানালেন, চা বাগানে পোকামাকড়ের আক্রমণ তুলনামূলক কম হওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে। এর আগে, ২০১৯ সালে চায়ের উৎপাদন হয়েছিলো ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি।