গেল এক বছরে দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ ভাগ। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, ই-কমার্সে যাওয়া ২০ ভাগ অর্থই লোপাট হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়, বিএফআইইউ।
নিয়ম অনুযায়ী, ১০ লাখ টাকার ওপরে যে কোনো নগদ লেনদেনের তথ্য, জানাতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এর বাইরে যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়েও জানানোর বিধান আছে এসটিআরের মাধ্যমে। হিসেব বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে আট হাজার ৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য জমা পড়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান মাসুদ বিশ্বাস জানান, সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়। লেনদেন সন্দেহজনক হলে তদন্ত করি। এরপর যদি কোনো অপরাধের তথ্য প্রমাণ মিলে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই। এ পর্যন্ত অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকের বাইরে, রেমিটেন্স আনা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। তবে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। এমন ১২টি প্রতিষ্ঠানের হিসেব পর্যালোচনা করে বিএফআইইউ বলছে, এ খাতের আসা অর্থের ৬৬ ভাগ পেয়েছে পণ্যের মূল মালিক। সাত ভাগ অর্থ নগদ লেনদের হওয়ায় তার কোনো হদিস মিলছে না। তবে প্রমান মিলেছে অর্থ লোপাটের।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চিহ্ণিত সকল অপরাধের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গেল বছর ৮৩৩টি তথ্য দেয়া হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে। একই সঙ্গে দেশ থেকে কি পরিমান অর্থ পাচার হচ্ছে সে বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য না দিতে পারলেও, টাকা পাচারের ধরন চিহ্ণিত হয়েছে।
আরও জানানো হয়, মুদ্রা পাচার বিরোধী বৈশ্বিক সূচকে চলতি বছর বাংলাদেশ আট ধাপ এগিয়ে ৪১ এ পৌঁছেছে।
বাংলা ৫২ নিউজ/নাহিদ