বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদের সম্মাননা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। সাবেক ফুটবলার ও বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন, দাবাড়ু গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদকে পেছনে ফেলে এই সম্মাননা জিতে নেন সাকিব।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাকিবকে এই গৌরবময় সম্মাননা তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল এমপি। উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান ও এআইপিএস এশিয়ার সভাপতি হি-দং-জং। অনুষ্ঠানে ১০ সাংবাদিককেও পুরস্কৃত করা হয়েছে।
মূলত, বাংদেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও লেখকদের প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। শুক্রবার বিএসপিএ’ তাদের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে নির্বাচিত করে।
শুধু সেরা নয়, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসের দশ সেরা ক্রীড়াবিদকেও খুঁজে নেয় বিএসপিএ। এই সময় সেরা এই ক্রীড়াবিদ বা তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয় সম্মাননা স্মারক ও আর্থিক পুরস্কার। প্রত্যেক বিজয়ীর জন্য ছিল ট্রফি ও ১ লাখ টাকা অর্থ পুরষ্কার।
ক্রম অনুসারে মনোনীত শীর্ষ ১০ ক্রীড়াবিদরা হলেন- ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান (১ম), ফুটবলার কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (২য়), দাবাড়ু নিয়াজ মোর্শেদ (৩য়), ফুটবলার মোনেম মুন্না (চতুর্থ), সাফ গেমসে পাঁচ স্বর্ণজয়ী মোশাররফ হোসেন (৫ম), ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (৬ষ্ঠ), ২০০২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজয়ী শুটার আসিফ হোসেন খান (৭ম), সাবেক দ্রুততম মানব শাহ আলম (৮ম), সাঁতারু মোশাররফ হোসেন খান (৯ম) ও দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান (১০ম)।
বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে ব্যাটে ‘জয়-বাংলা স্লোগান’ লিখে মাঠে নামার অসীম সাহসিকতা দেখানো জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এ এস এম রকিবুল হাসানকে।
একইসঙ্গে দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ ক্রীড়া সাংবাদিক ও লেখককে হীরকজয়ন্তী সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন- আব্দুল হামিদ, তৌফিক আজিজ খান, বদি-উজ-জামান, মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, আব্দুল তৌহিদ, আতাউল হক মল্লিক, মতিউর রহমান চৌধুরী, দিলু খন্দকার, শহিদুল আজম ও মোস্তফা মামুন।