দেশে সাইবার ক্রাইম আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে, এ ক্রাইম এতো বেশি বিস্তার লাভ করেছে যে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আমাদের দেশের মেয়েরা এ ক্রাইমের শিকার হচ্ছে। এজন্য তারা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকে। বর্তমানে আমরা সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন করেছি।
শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর পুলিশ লাইন্সে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ৮২ হাজার ৫৮৩ জনকে পুলিশে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের শক্তিশালী করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি।
গাজীপুরকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউন হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, এখানে ইন্ডাস্ট্রি এমনভাবে ডেভেলপ করেছে যে গাজীপুর এখন একটা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। আমরা গাজীপুরে শুধু মেট্রোপলিটন পুলিশই গঠন করিনি, আমরা পুলিশের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ২০০৮ থেকে ২০২২সাল পর্যন্ত ৮২ হাজার ৫৮৩টি নতুন পদ সৃষ্টি করে ৮২ হাজার ৫৮৩ জন পুলিশকে নিয়োগ দিয়েছি। তৈরি করেছি ইন্ডাস্ট্রিজ পুলিশ। এছাড়াও দেশে ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন ছাড়াও আমরা এন্টিটেররিজম পুলিশ গঠন করেছি। ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গঠন করেছি। আমরা সবকিছুই করেছি জনগণকে সেবা করার জন্য। তাদের শান্তিতে রাখার জন্য। নিশ্চয় আপনারা পুলিশের ৯৯৯-এর সুফল পাচ্ছেন। আমি মনে করি এসব গঠনে আমাদের যে উদ্দেশ্য তাতে আমরা সফল হয়েছি।
জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রাজধানী যদি ঢাকা হয়, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাজীপুরকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে আমরা চিহ্নিত করতে পারি। এদেশের অর্থনীতির ফুসফুস হচ্ছে গাজীপুর।