ঘন কুয়াশার চাদর ভেদ করে দিনে সূর্যের দেখা মিললেও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপটে কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করছে দিনে-রাতে। দিনের রাস্তায় ঠান্ডায় কাবু মানুষের শরীরে গরম কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। সকাল ৭টয় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দশমিক ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আদ্রতা রেকর্ড হয়েছে ৮৩ শতাংশ।
এদিকে দিনাজপুরের পরই চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। এদিন সকালে চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৬৭ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়ে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষ। তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বমিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।