পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পরও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ম্যানেজমেন্ট। তবে সাকিব দলে আছেন এবং দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন এটাই এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলার সময়ই ঢাকায় সাকিব আল হাসানের নামে একটি হত্যা মামলা হয়। তবে এনিয়ে বোর্ডে কোনো আইনি নোটিশ যায়নি। তাই শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্টে সাকিব খেলছেন এটা প্রায় নিশ্চিত।
যদিও এখন পর্যন্ত বিসিবি কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে সাকিবের খেলার ব্যাপারটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। গত শনিবার বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন, প্রথম টেস্ট শেষে সাকিবের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সাকিবকে নিয়ে যখন তোলপার সেই খারাপ সময়ে সতীর্থদের পাশে পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মমিনুল হক, দীর্ঘদিনের সতীর্থ মুশফিক সামাজিকমাধ্যমে সমর্থন জানিয়েছেন সাকিবকে। ফেসবুকে পোস্ট করে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন শরিফুল, এনামুল হক বিজয়, রুবেল হোসেনরা।
সোমবারই বিসিবি জানিয়েছে, সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো নোটিশ হাতে আসেনি। তাই পাকিস্তানে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছেও তাই সাকিবের ব্যাপারে বিশেষ কোনো নির্দেশনা যায়নি। সাকিব দলে আছেন এবং ৩০ আগস্ট শুরু দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন এটাই এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত।
সব মিলিয়ে, শীর্ষ পর্যায় থেকে সাকিব পেয়েছেন দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার বার্তা। তেমনি সাকিবও বিসিবিকে আশ্বস্ত করেছেন, মামলার বিষয়টি তার খেলায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে ইসলামাবাদ ক্লাব মাঠের অনুশীলনে দলের সঙ্গে আছেন তিনি।
এদিকে বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত-সে খেলা চালিয়ে যাবে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে উকিল নোটিশ এসেছিল, তার জবাবেও এটাই বলেছি।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখনো এফআইআর পর্যায়ে আছে। এরপরও অনেকগুলো ধাপ আছে। যতক্ষণ না তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, ওকে আমরা খেলাব। পাকিস্তান সফরের পর দল ভারতে যাবে। সেখানেও আমরা সাকিবকে চাই।’
বিসিবি তাকে সব রকমের আইনি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান ফারুক, ‘ও আমাদের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার। প্রয়োজনে তাকে আমরা আইনগত সহায়তাও দেব।’