মোঃ সুইট হোসেন নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মহাদেবপুরে সুরাইয়া আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন পূর্বক হত্যার ঘটনায় ঐ গৃহবধূর শ্বশুর মোকলেছার রহমান ও শাশুড়ী হাসিনা বেগমকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শনিবার ২৫ জুন নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরন করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। গৃহবধূকে নির্যাতন পূর্বক হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার
(উত্তরগ্রাম) মোল্লাকুড়ি গ্রামে।
নিহত গৃহবধু সুরাইয়া ঐ গ্রামের “বাস চালক” মোঃ বাবু ওরফে হান্নান এর স্ত্রী। শ্বশুর ও শাশুড়ীকে থানা পুলিশ আটক করলেও ঘটনার পর থেকে স্বামী বাবু ওরফে হান্নান পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূ’র স্বজনরা জানান, শুক্রবার ২৪ জুন মেয়ে জামাই বাবু তার শাশুড়ীকে মুঠোফোনে জানান যে তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, এমন খবর পেয়ে নিহত গৃহবধূর পিতা ও মাতা সহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ দেখাসহ স্বামীর বাড়ির লোকজনের সন্দেহ জনক কথা বার্তাসহ জামাই গা-ঢাকা “ফোনে কথা বলার পরও বাসায় আসতে চেয়ে না আসায়” বুঝতে পারেন যে তাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার পর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্বামীর পরিবার।
এমনকি ইতি পূর্বেও মেয়েকে একাধিক বার নির্যাতন করা হয়েছে জানিয়ে নিহত গৃহবধূর স্বজনদের দাবী পারিবারিক কলহের জেরধরে হত্যা করে ঘড়ের তীরের সাথে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখে গ্রামের লোকজনের কাছে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রায় এক বছর মহাদেবপুর উপজেলার খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এর মেয়ে সুরাইয়ার সাথে বাবুর বিয়ে হয়। বিয়ের ৩/৪ মাস পর থেকেই সুরাইয়াকে নির্যাতন করা হতো, যে কারনে একাধীক বার পারিবারিক শালিশ করা হয় বলেও অভিযোগ স্বজনদের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ প্রতিবেদককে জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহর প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার করে শনিবার নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে ময়না তদন্ত শেষে বিকালে স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করায় দ্রুত অভিযান চালিয়ে গৃহবধূর শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, গৃহবধূর স্বামী পলাতক থাকায় এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তবে পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।