পাকিস্তানে নির্বাচন মানেই নাটকীয়তায় ভরা। কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বড় দলগুলো। এই প্রথম জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও রাজনৈতিক দল পিপিপির চেয়ারম্যার বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের বিলাওয়াল হাউসে এই আলাপ হয় বলে জানা যায়। নওয়াজ শরিফের প্রস্তাব ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে পিপিপি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, পিএমএল–এনের শীর্ষ নেতা নওয়াজ শরিফ ও পিপিপির চেয়ারম্যার বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বৈঠকে দুই দলের সিনিয়র আরও নেতা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পিপিপির কো–চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে পিপিপি জানায়, সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পিএমএল–এনের নওয়াজ শরিফ জোটের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে আমরা দলীয়ভাবে আলোচনা করব। সোমবার এই বৈঠক হবে। এরপর সিদ্ধান্ত জানাব।
ইসিপির সবশেষ ফলাফলে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বাধিক ১০১টি আসনে জয় পেয়েছেন। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৬টি আসন। নওয়াজ শরিফের পিএমএল–এন পেয়েছে ৭৫টি আসন। পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি আসন। এ ছাড়া করাচিভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) পার্টি পেয়েছে ১৭টি আসন। অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ২৬৬টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি আসনে ভোট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঞ্জাবের অন্য একটি আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে ফল ঘোষণা করা হয়েছে ২৬৪টি আসনের।