নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। দেশের ২৪তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) তাকে এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মাহবুব হোসেন গত বছরের ২ জানুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসাবে যোগদান করেন। তার আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে কবির বিন আনোয়ারকে নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ দেওয়া আরেক প্রজ্ঞাপনে কবির বিন আনোয়ারের অবসরের বিষয়টিও জানানো হয়েছে। মাত্র তিন সপ্তাহ দায়িত্ব পালন শেষে চাকরি থেকে অবসরে গেলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
মোহাম্মদ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অবসরে গেলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ারকে গত ১১ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বে আনা হয়। ৪ জানুয়ারি বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গলবারই তিনি অবসরে যাচ্ছেন।
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন সরকারি চাকরিতে যোগ দেন ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর। চাকরি জীবনে বিভিন্ন সময়ে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমীর প্রশিক্ষক, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের উপ-প্রধান (জেন্ডার), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের পরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) পদেও তিনি কাজ করেছেন।
মাহবুব হোসেন বরিশাল রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ (বর্তমানে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ) থেকে ১৯৭৯ সালে এসএসসি, বরিশাল বি.এম. কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ ব্যাচে সমাজ বিজ্ঞানে বিএসএস (সম্মান) এবং ১৯৮৫ ব্যাচে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ লন্ডন থেকে এমবিএ এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন থেকে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার পাতারচর গ্রামের সন্তান মাহবুব হোসেন ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলের বাবা।