শুভ চক্রবর্ত্তী , নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়ার) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা সদর এলাকা থেকে চুরির দায়ে মনির মিয়া (৩০) নামে এক ভুয়া সেনা সদস্যেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং সেনা সদস্যের পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে চুরির অভিযোগে মনির মিয়ার বিরুদ্ধে নবীনগরের সোহাতা গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
বুধবার(১৮ মে) সন্ধ্যায় নবীনগর উপজেলা সদর পৌর এলাকার অগ্রণী ব্যাংক সংলগ্ন রাস্তা থেকে নেত্রকোনার ৮নং ওয়ার্ডের নাগরা গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে ভুয়া সেনা সদস্য মনির মিয়া (৩০) কে আটক করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিকালে নবীনগর বাজারে স্বর্ন ক্রয় করতে গিয়ে বাদী বিলকিস বেগম ও তার ফুফুর সাথে ভুয়া সেনা সদস্য মনিরের পরিচয় হয়। পরিচিত হওয়ার সুযোগে তাদের নম্বরও নিয়ে যায় মনির। এর পরদিন শুক্রবার দুপুরে ফোন দিয়ে নবীনগর পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় বিলকিস বেগমের ফুফুর বাড়ি যায় মনির মিয়া। সেখানে গিয়ে ফুফু নিলুফা বেগমের মুখে একটি সুপারি দিয়ে তার হাত হতে স্বর্নের আংটি,স্বর্নের চেইন ও মোবাইল নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরে বাদী বিলকিস বেগম ফুপুর বাড়িতে এসে চুরি ব্যাপারটি বুঝতে পেরে অভিযুক্ত মনিরকে ফোন দিয়ে জিনিসগুলো দিয়ে যেতে বলায় সে (মনির) ফোন বন্ধ করে দেয়। এ চুরির পর থেকেই বাদী ও তার ফুফু চোর মনির মিয়াকে কে খুঁজতে থাকে।
গত বুধবার (১৮ মে) বিকেলে বাদী বিলকিস বেগম ও তার ফুফু নবীনগর সদর বাজারের অগ্রণী ব্যাংক সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভুয়া সেনা সদস্য মনিরকে একটি মোটর সাইকেলে যেতে দেখে পথরোধ করে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয়রা মনির মিয়াকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে মনিরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ দিন সন্ধ্যায় নবীনগর পৌর এলাকার সোহাতা গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম বুধবার বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করে।
আরো জানা যায়, নেত্রকোনার ৮নং ওয়ার্ডের নাগরা গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে মনির মিয়া সেনা সদস্যের পরিচয় দিয়ে নবীনগর পৌর এলাকার আদালত পাড়ার ভাড়াটিয়া চরলাপাং গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে ইয়াছিন আক্তারের সাথে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং বেশ কিছুদিন পূর্বে নবীনগর এসে ইয়াছিন আক্তারকে বিয়ে করে।
নবীনগর থানর অফিসার্স ইনচার্জ আমিনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধৃত মনিরের নিকট থেকে সেনা সদস্যের ভুয়া আইডি কার্ড, গেঞ্জি, জুতা ও সেনাবাহিনীর চিহ্নযুক্ত মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মামলা নিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।