ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে সিলেট নগরের বন্যা পরিস্থিতি। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এমন পরিস্থিতিতে নিরুপায় হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন নগরের বাসিন্দারা।
এখন পর্যন্ত দেশের ১০ জেলা ও ৬৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে জানানো হয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে নির্দেশ দেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডকে মোতায়েন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে ৩১টি স্পিডবোডসহ সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজে নামে। রাতের দিকে নৌবাহিনী ৩০ জন ডুবুরিসহ তাদের নৌযান নিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। শনিবার দুপুরে কোস্টগার্ড সেখানে পৌঁছে। সবাই সম্মিলিতভাবে সিলেটে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে সাড়ে ৪০০ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী না ঘুমিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিকে বন্যাকবলিত মানুষের সহযোগিতায় নিকটস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আগামী সোমবারের আগে সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আশা নেই বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুইয়া।বাংলাদেশ জার্নাল