অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা সদস্য ছাড়াও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), পুলিশ, ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে প্রতিবেশি দেশটির একটি জাহাজ বাংলাদেশে আসছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে আসবে মিয়ানমার নৌবাহিনীর ওই জাহাজটি।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে শনিবার জাহাজ এসে পৌঁছাবে বলে মিয়ানমার আমাদের জানিয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সব মিয়ানমারের নাগরিককে কক্সবাজারে নেয়া হবে। এরপর জাহাজটি যেহেতু খব বড় হওয়ায় উপকূলের কাছে আসতে পারবে না। তাই ছোট ছোট নৌকা বা ট্রলারে করে তাদের জাহাজে তুলে দেয়া হবে।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৩৩০ নাগরিককে টেকনাফের দুটি স্কুলে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তারা সেখানে রয়েছেন।
মিয়ানমার থেকে যেই জাহাজটি পাঠানো হচ্ছে এ ধরনের সামরিক জাহাজের সক্ষমতা প্রায় ৫০০ জন বহন করা। ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সবাইকে এই জাহাজে পাঠানো সম্ভব বলে জানান কর্মকর্তারা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের গভীর সমুদ্র দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে রাখাইন সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী আর বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। সংঘাত চলাকালে প্রায় দুই ব্যাটালিয়ানের অফিসার, সৈনিক, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। প্রথমে তাদের বিমানে ফেরত পাঠাতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে মিয়ানমার রাজি হয়নি। পরে সমুদ্রপথে তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।