ঢাকা , রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জনপ্রিয়তার কারণেই হয়তো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাদিকে : জামায়াত আমির দেশে ফিরে বাবার মাজার জিয়ারত করবেন তারেক রহমান জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে হাদি: হত্যার তদন্ত ও বিচার চাইলেন মহাসচিব সুদানে নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে সামরিক মর্যাদায় শেষ বিদায় কুষ্টিয়ায় নির্বাচন অফিসে আগুন সংসদ নির্বাচনের তপশিল সংশোধন! ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন বিক্ষোভকারীরা রাণীশংকৈলে ‘ জুলাই যোদ্ধা’ ওসমান হাদী’র গায়েবি জানাযা অনুষ্ঠিত।  পুলিশ পরিচয়ে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে প্রতারণা: এসআই আনজিলের অভিযানে প্রতারক গ্রেফতার খোকসায় ওসমান হাদী হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাজা

নাটোরে শাখা-সিঁদুর পড়া ৩ নারীর অভিনব কৌশল ও পরে আটক

মোঃ জামান মাসুদ, বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই হাতে শাখা পরিহিত ও মাথার সিঁথিতে সিঁদুর লাগানো ৩ মুসলিম নারীকে একটি কীর্তন অনুষ্ঠান থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তবে তারা শাখা-সিঁদুর পড়ে হিন্দু সাজার জন্য আটক হয়নি। আটক হয়েছে কীর্তন অনুষ্ঠানে আসা হিন্দু নারীদের গলায় থাকা সোনার চেইন কৌশলে ছিনিয়ে নেওয়ার কারণে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষিকোল বাজারস্থ শ্রী শ্রী কালী মাতার মন্দিরে মহা হরিনাম ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত প্রতারক ওই তিন নারী হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ও দুলাল মিয়ার স্ত্রী শামসুন্নাহান বেগম (২৮), একই গ্রামের কাজল হোসেনের মেয়ে ও আরিছ মিয়ার স্ত্রী লিপি আক্তার (৩০) এবং আবু মিয়ার মেয়ে ও হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (২৬)। তাদেরকে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে মৃত মন্টু কুন্ডুর স্ত্রী চায়না রানী (৫৫) কীর্তন উপলক্ষে বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষীকোল মহল্লায় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাখা-সিঁদুর পড়া তিনজন নারী কীর্তন অনুষ্ঠানে চায়না রানীর পাশে ঘিরে বসে। এক পর্যায়ে কীর্তনের আবেগঘন আসর জমে উঠলে প্রতারক ওই তিন নারীদের একজন চায়না রানীকে জড়িয়ে ধরে এবং কৌশলে গলায় থাকা সোনার চেইন খুলে নেয়। বিষয়টি চায়না রানী আঁচ করতে পেরে পাশে থাকা মেয়ে জামাই মন্টু কুমার কুন্ডুকে জানায়। তখন স্থানীয় ভক্তদের সহযোগিতায় ওই তিন প্রতারক নারীকে চিহ্নিত করে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে মহিলা পুলিশের সহায়তায় প্রতারকদের একজনের গোপনাঙ্গ থেকে এক ভরি ওজনের সোনার চেইনটি উদ্ধার করে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, তারা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সেজেছে এবং কীর্তন অনুষ্ঠানে এসে গলায় সোনার চেইন আছে এমন হিন্দু নারীদের টার্গেট করে পাশে বসে। অতঃপর কীর্তন চলাকালে সাধারণ ভক্তদের মতো তারাও তাদের টার্গেট করা আগত হিন্দু নারীদের জড়িয়ে ধরে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ বলে কান্নাকাটি করতে থাকে। ততক্ষণে প্রতারকরা কৌশলে সোনার চেইন খুলে নেয়। এরা সংঘবদ্ধ ও আন্তঃজেলা নারী প্রতারক। তাদের সাথে আরও কারা জড়িত আছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃত ওই তিন নারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
৭৮০ Time View

নাটোরে শাখা-সিঁদুর পড়া ৩ নারীর অভিনব কৌশল ও পরে আটক

আপডেটের সময় : ০১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই হাতে শাখা পরিহিত ও মাথার সিঁথিতে সিঁদুর লাগানো ৩ মুসলিম নারীকে একটি কীর্তন অনুষ্ঠান থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তবে তারা শাখা-সিঁদুর পড়ে হিন্দু সাজার জন্য আটক হয়নি। আটক হয়েছে কীর্তন অনুষ্ঠানে আসা হিন্দু নারীদের গলায় থাকা সোনার চেইন কৌশলে ছিনিয়ে নেওয়ার কারণে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষিকোল বাজারস্থ শ্রী শ্রী কালী মাতার মন্দিরে মহা হরিনাম ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত প্রতারক ওই তিন নারী হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ও দুলাল মিয়ার স্ত্রী শামসুন্নাহান বেগম (২৮), একই গ্রামের কাজল হোসেনের মেয়ে ও আরিছ মিয়ার স্ত্রী লিপি আক্তার (৩০) এবং আবু মিয়ার মেয়ে ও হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (২৬)। তাদেরকে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে মৃত মন্টু কুন্ডুর স্ত্রী চায়না রানী (৫৫) কীর্তন উপলক্ষে বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষীকোল মহল্লায় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাখা-সিঁদুর পড়া তিনজন নারী কীর্তন অনুষ্ঠানে চায়না রানীর পাশে ঘিরে বসে। এক পর্যায়ে কীর্তনের আবেগঘন আসর জমে উঠলে প্রতারক ওই তিন নারীদের একজন চায়না রানীকে জড়িয়ে ধরে এবং কৌশলে গলায় থাকা সোনার চেইন খুলে নেয়। বিষয়টি চায়না রানী আঁচ করতে পেরে পাশে থাকা মেয়ে জামাই মন্টু কুমার কুন্ডুকে জানায়। তখন স্থানীয় ভক্তদের সহযোগিতায় ওই তিন প্রতারক নারীকে চিহ্নিত করে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে মহিলা পুলিশের সহায়তায় প্রতারকদের একজনের গোপনাঙ্গ থেকে এক ভরি ওজনের সোনার চেইনটি উদ্ধার করে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, তারা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সেজেছে এবং কীর্তন অনুষ্ঠানে এসে গলায় সোনার চেইন আছে এমন হিন্দু নারীদের টার্গেট করে পাশে বসে। অতঃপর কীর্তন চলাকালে সাধারণ ভক্তদের মতো তারাও তাদের টার্গেট করা আগত হিন্দু নারীদের জড়িয়ে ধরে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ বলে কান্নাকাটি করতে থাকে। ততক্ষণে প্রতারকরা কৌশলে সোনার চেইন খুলে নেয়। এরা সংঘবদ্ধ ও আন্তঃজেলা নারী প্রতারক। তাদের সাথে আরও কারা জড়িত আছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃত ওই তিন নারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।