ই এম আকাশ ঃ
বাংলাদেশ দূতাবাস দোহার উদ্যোগে নানা আয়োজনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে ‘শিশুদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু‘ শীর্ষক বিষয়ে বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ‘ শীর্ষক বিষয়ে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং প্রবাসী বাংলদেশীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ই মার্চ বিকালে দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল ও কলেজে অনুষ্ঠিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ এমএইচ এম স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা দুটি গ্রুপে অংশগ্রহণ করে। রাষ্ট্রদূত মো: জসীম উদ্দিন বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে সনদ এবং বিজয়ীদেরকে পুরস্কার প্রদান করেন।
১৭ই মার্চ সকালে রাষ্ট্রদূত মো: জসীম উদ্দিন দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এদিন বিকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপে শিশু ও কিশোররা অংশগ্রহণ করে। রাষ্ট্রদূত সস্ত্রীক উপস্থিত থেকে শিশু ও কিশোরদের উৎসাহিত করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতারের নেতৃবৃন্দ/সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ কমুউনিটি কাতার (বিসিকিউ), সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন।
আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এ দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। রাষ্ট্রদূত মো: জসীম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও কৌশলী নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতাত্তোর ’সোনার বাংলা’ গঠনে রাষ্ট্র পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং রাজনৈতিক জীবনে যে গৌরবময় আদর্শ ধারন করতেন সে সকল আদর্শ চর্চার মধ্য দিয়ে আজকের শিশু-কিশোরদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাষ্ট্রদূত সকলকে অনুরোধ করেন। এছাড়া, রাষ্ট্রদূত জাতি গঠন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ভাবনা তুলে ধরে সমকালীন বিশ্বে তার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করনে। আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তাগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।