শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) :
সিরাজগঞ্জ: শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দর থেকে চট্রগ্রাম, মংলা, নৌবন্দর রুটে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, বড়াল নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নাব্যসংকটে ডুবচর জেগে উঠেছে। এতে বিভিন্ন নৌবন্দর থেকে রাসায়ানিক সার, পাথর, সিমেন্ট, জ্বালানি তেলবাহী কার্গো জাহাজ সম্পন্ন লোড অবস্থায় বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে আসতে পাছে না।
ফলে পাটয়ারি বা নগরবাড়ির আগেই লাইটারেজের মাধ্যামে জাহাজ থেকে অর্ধেক মালামাল আনলোড করে খালাস করতে হচ্ছে। এতে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর জাহাজ শূন্য হয়ে পরেছে। বেকার হয়ে পরেছে প্রায় ৬ শতাধিক শ্রমিক। এই সময় শ্রমিকের প্রচুর কাজ থাকে। লোড আনলোডে শ্রমিকরা ব্যস্ত থাকে। এখনে প্রায় ৬ শতাধিক বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে বসে আছে।
আলোকদিয়ার গ্রামের শ্রমিক আব্দুল জব্বার বলেন, ডুবচরের কারণে জাহাজ না আসায় আমরা বেকার হয়ে পড়ছি। শ্রমিক জব্বার, আলিম, কালাম, হালিম বলেন বিআইডাব্লিউটিএ কোনো প্রকার উদ্যোগ নিচ্ছে না। শ্রমিকরা আরও বলেন, বিআইডাব্লিউটিএ নজর না দেয়ায় আজ এই অবস্থা।
বাঘাবাড়ি নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কার্যালেয়ের পরিচাক আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বলেন, চর নাকালিয়া, পেচাকোলা, মোল্লার চর, পাটুরিয়া এলাকায় নদীর পানি কমে যাওয়ায় অনেক ডুবচর জেগে উঠেছে ফলে পূর্ণ লোডে পণ্যবাহী জাহাজ বাঘাবাড়ি নেবৗবন্দরে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর হাজার শূন্য হয়ে অচল হয়ে পরেছে।
তিনি আরও বলেন, এসব চরে আটকে পরা জাহাজ ডাকাতি হচ্ছে জাহাজের শ্রমিকরা প্রাণ ভয়ে আছে। এই জন্য মাঝ পথে পণ্য খালাস করতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি এই সম্যসা সমাধানের জন্য দ্রুত নৌ ড্রেজিং করতে বিআইডাব্লিউটিএ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর লেবার এজেন্ট আবুল সরকার বলেন, কোটি কোটি টাকা দিয়ে বাঘাবাড়ি ঘাট ইজারা নিয়েছি। জাহাজ না আসায় আমাদের প্র্য়া ৬ শতাধিক লেবার বোকার হয়ে পরেছে। আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তিনি এই নৌবন্দর সচল করতে বিআইডাব্লিউটিএ এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে বাঘাবাড়ি নৌবন্দ কর্মকর্তা ও বিআইডাব্লিউটিএ এর উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বালেন বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে নৌপথে কোন নাব্যসংকট নেই। এখানে ৮ থেকে ১০ ফিট পানির ড্রাফট রয়েছে।
তিনি বলেন, এটা দ্বিতীয় শ্রেণির বন্দর ফলে এ বন্দর চ্যানেলের নিয়ম অনুযায়ী ৭ থেকে ৮ ফিট ড্রাফাটের জাহাজ চলার কথা কিন্তু নিয়ম অমান্য করে সেখানে ১০ থেকে ১২ ফিট ড্রাফাটে নিলে তো সমস্য হবেই। তিনি আরও বলেন, এ বন্দর প্রথম শ্রেণিতে পরিণত হলে আর কোনো সমস্য থাকবে না।