Imam Hossain
নারী সহিংসতা, সাইবার বুলিং, সুইসাইড!!! এগুলো যেন বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। আমাদের আশেপাশের চেনা-পরিচিত অনেকেই শিকার হচ্ছেন এইসব সামাজিক ব্যাধির। কিন্তু কতজন এগুলো নিয়ে ভাবেন? এগুলো প্রতিরোধে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন? কথা বলছি তেমনই এক তরুণকে নিয়ে যে কিনা নিজের মেধা এবং পরিশ্রম অবলীলায় বিলিয়ে দিয়েছেন মানবসেবায়।
রোহিত রায়, যশোরের বুকে রোহিত রায় বর্তমানে একজন উদীয়মান প্রতিভার নাম। তিনি কেবল তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেন নি, বরং প্রাতিষ্ঠানিক গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন একজন সমাজসংস্কারক, সংস্কৃতিকর্মী, সংগঠক এবং উদ্ভাবক হিসেবে।
তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে বিকশিত করা যায়। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি তে জিপিএ-৫ পেয়ে বর্তমানে পড়াশোনা করছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তিনি একাধারে থিয়েটার, আবৃত্তি, উপস্থাপনা, ছবি আঁকায় সমানভাবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও হাতের লেখায় প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজের নাম সমুজ্জ্বল রেখেছেন।
ছোটবেলা থেকেই সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করায় সম্পৃক্ত থাকতেন তিনি। যার ফলস্বরুপ নারী সহিংসতা প্রতিরোধে ইনোভেটিভ আইডিয়ায় কাজ করছেন মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থন, আইনগত সহায়তা ও নারীর নিরাপদ ক্যাম্পেইনে। নারী সহিংসতা প্রতিরোধে উদ্ভাবনী মোবাইল আ্যাপ “ইয়াভ” এর উদ্ভাবক তিনি ।
এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী জাতীয় যুব সংগঠন বাংলার মেলার সভাপতি, দেশের সর্বোচ্চ বাজেটের পত্রিকা কালের কণ্ঠ’র শুভসংঘের যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় নাট্য সংগঠন ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন, যশোর জেলা শাখার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। স্বপ্ন দেখেছেন এমন এক সমাজ গড়ার যেখানে নারীরা পুরুষের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাবে এবং “ইয়াভ” এগিয়ে যাবে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চায়নে।
এই তরুণ উদ্যোক্তার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে অনেক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ। ইতোমধ্যেই তারুণ্যের আইকন এবং সংগঠক হিসেবে উল্লেখযোগ্য সম্মাননা যেমন রোয়ার ইন্ট্রাক্ট ডিস্ট্রিক্ট অ্যাওয়ার্ড, স্বাধীনতা স্মৃতি সম্মাননা ও ইন্সপিরেশন অফ ইয়ুথ আ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। তিনি এখানেই সীমাবদ্ধ নন এগিয়ে চলেছেন একঝাঁক তরুণ-তরুণীদের উদোক্তায়নে আরো বড় কিছু করার প্রত্যয়ে। কাজ করছেন যশোরকে ছাড়িয়ে দেশের প্রতিটি জেলায় নিজের কার্যক্রম বিস্তৃত করতে, উদ্দেশ্য একটাই- সমাজের হিত সাধন এবং বাংলাদেশকে একটি সহিংসতা মুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা।