ব্যাটিং-বোলিংয়ে লড়াইটা একাই করেছেন নাহিদা আক্তার। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। কিন্তু ফাইনালে লড়ে গলেও স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি বাংলাদেশের। ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৩১ রানে হেরে গেছেন তাঁরা।
হংকংয়ের মং কক মিশন রোড গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করেছে ভারত। ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৯.২ ওভারে ৯৬ রানে থামে বাংলাদেশের মেয়েদের ইনিংস।
টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচ খেলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ভারত। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক হংকংকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল শ্বেতা সেহরাওয়াতের দল। এরপর বৃষ্টির প্রভাবে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ এবং সেমিফাইনাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে পারেনি তাঁরা। পয়েন্ট ভাগাভাগি ও নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে এক ম্যাচ খেলেই ফাইনালে উঠে যায় তারা। বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপাও জিতে নিল ভারত।
৫৬ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাথী রাণী ১৩ ও টপ অর্ডার ব্যাটার সোবহানা মোস্তারি ১৬ রান করেন। বাকি চার ব্যাটার দুই অঙ্কের সংখ্যা পর্যন্ত ইনিংস নিতে পারেননি। সপ্তম উইকেটে নাহিদা ও রাবেয়া খান জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটি বড় হতে দেননি শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। ৬ রানে ফেরান রাবেয়াকে।
নাহিদাও পাচ্ছিলেন না ভালো সঙ্গ। একে একে বাকি ব্যাটাররাও ফিরলেন। শেষ পর্যন্ত ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদা। ভারতের বোলারদের মধ্যে শ্রেয়াঙ্কা ৪টি এবং মান্নাত কাশ্যপ ৩ উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে অধিনায়ক শ্বেতা ও ইউ ছেত্রীর উদ্বোধনী জুটির সৌজন্যে সাবলীলভাবে এগোচ্ছিল ভারত। তবে এই জুটিকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি নাহিদা। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে ১৩ রান করা শ্বেতাকে বোল্ড করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ভারতের রান তখন ১ উইকেটে ২৮ রান। এরপর রাবেয়ার বলে বোল্ড হয়ে দ্রুত আউট হয়ে যান ছেত্রী। ২২ রান আসে এই ভারতীয় ওপেনারের ব্যাট থেকে।
৪৩ রানে ২ উইকেট পড়ার পর ব্যাটিংয়ে আসেন গঙ্গাদি তৃষা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দিনেশ বৃন্দা-তৃষা যোগ করেন ২৭ রান। তৃষাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সুলতানা খাতুন। তৃষার পর সুলতানা ফিরিয়েছেন বৃন্দাকেও। ২৯ বলে ৩৬ রান করেন বৃন্দা। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১২৭ রান করে ভারত। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। সুলতানাও শিকার করেছেন দুটি উইকেট।