Imam Hossain
প্রতিষ্ঠিত কিংবা সফল হতে চাই পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়। এর বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করার কোনো উপায় নেই। এমনটাই মনে করেন প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রয়াসে একাধিক কর্মে নিজেকে যুক্ত রাখা আব্দুল্লাহ জুবায়ের।
পরিকল্পনা ছাড়াই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ভেঙে সময়োপযোগী করে বিভিন্ন কাজে নিজেকে নিবেদন করে চলেছেন। এভাবেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নিজের পরিচিতি বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে তার সক্ষমতার প্রমাণও দিয়ে চলেছেন।
বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইত্তেফাক এর মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার হিসেবে, রেডিও ধ্বনি ৯১.২এফএম এর আরজে এবং প্রডিউসার হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও পাক্ষিক অনন্যা ম্যাগাজিনের মাল্টিমিডিয়া কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত আছেন। এর পাশাপাশি তার নিজ গ্রামে নিজের প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক সামাজিক সংগঠন ‘নতুন স্বপ্ন’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
একাডেমিক পড়াশোনাতেও পিছিয়ে নেই জুবারের। তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে স্নাতক শেষ করেন এবং বর্তমানে স্নাতকোত্তরে অধ্যায়নরত আছেন।
ছোট বেলা থেকেই সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা কর্যক্রমে নিজেকে যুক্ত রাখতে পছন্দ করতেন। এসব কাজের অনুপ্রেরণা এবং প্রাথমিক শিক্ষায় তার বড় বোন এবং ছোট মামার বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শুরুতে ২০২০ সালে বন্ধু নাজমুলের মাধ্যমে সুযোগ আসে রেডিওতে কাজ করার। রেডিও আমার ৮৮.৪ এফএম এ সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে ইন্টারভিউ দিয়ে প্রথমবারের মতো মাইক্রোফোনের সামনে আসে কথা বলার সুযোগ। এরপর পিছনে নয় ধাপে ধাপে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন সামনের দিকে। রেডিও ধ্বনি৯১.২ এফএম আরজে হিসেবে কাজ শুরু করেন ২০২১ সালে। পাশাপাশি একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘বাংলাদেশ জার্নাল’ এ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্ত হন। এরপর সুযোগ আসে দেশের প্রাচীনতম এবং প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায়। সেই কাজের পাশাপাশি ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের প্রতিষ্ঠিত নারী কেন্দ্রিক পাক্ষিক অনন্যা ম্যাগাজিনে মাল্টিমিডিয়া কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে।
এখনো দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
তার এমন কর্ম অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জুবায়ের বলেন, ‘শহরটা কেবল অবিশ্বাসে অবদ্ধ নয়, আছে সৎ উদ্দেশ্যে পরোপকার আর আত্মতৃপ্তির অভাব’ আর তাই হয়তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পুনশ্চ কাব্যে বলেছিলেন ‘সমাজে বৈষম্য রেখে আত্মার মুক্তি সম্ভব নয়’ আমাদের চারপাশের পরিবেশ আমাদের অনেক কিছু করতে বাধ্য করে। কিন্তু পরিশেষে আত্মার মুক্তি বা আত্মতুষ্টির অভাব বোধ করলে জীবনের সকল কিছুই নিরর্থক। এ কারনে সব সময় চাইতাম জীবনে যে কাজেই করিনা কেন তার মধ্যে যেন নিজের পাশাপাশি অন্যের জন্য কিছু করার থাকে। এখনো পর্যন্ত যে কাজ গুলো করেছি বা করছি সবটাতেই অন্যের জন্য কিছু করার সুযোগ ছিলো। তাই সব কাজই উপভোগের ছিলো। আপনি দেখবেন আপনার নিজের যে কোনো অর্জনের যে অনুভূতি বা আনন্দ সেটার থেকে কিছুটা হলেও আনন্দ কিংবা ভালোলাগার পরিমানটা বেশি হবে যদি আপনি অন্যের জন্য কিছু করতে পারেন।