এইচ. আই লিংকন, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের নিমতলায় আবাসন নামে একটি হাউজিং কোম্পানি অর্পিত সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল নিয়ে মাটি ভরাট করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে । ইতিমধ্যে প্রতারণার ভয়ংকর ফাঁদ কিস্তিতে প্লট বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । এদিকে সরকারি লীজের জায়গা ভারাট করে হাউজিং কোম্পানীর নামে অবৈধ ভাবে প্লট বিক্রি করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে নিশ্চুপ।
উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বসনিয়ার হাটি এবং শ্রীনগর উপজলার হাসাড়া ইউনিয়নের হাসাড়া মৌজায় অনেকটা অবিশ্বাস্য ভাবে সরকারের হাজার কোটি টাকার লীজের ফসলি জমি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ক্রয় করে নিমতলা আবাসন নামের হাউজিং কোম্পনীর প্রভাবশালীরা মাটি ভারাট করে প্লট করে বিক্রি করছে । প্রকাশ্যে এ ধরণের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বসনিয়ার হাটি ও শ্রীনগর উপজেলার ,হাসাড়া-মৌজায় নিমতলা আবাস কোম্পানী ক্রয়কৃত সম্পত্তি সঙ্গে থাকা সরকারি অর্পিত সম্পত্তি এবং স্থানীয় নিরীহ মানুষের মালিকানাধীন জমি দখলের পর তা ভরাট করেছেন। অথচ সিরাজদিখানে উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্য মতে নিমতলা আবাসন নামে কোন সরকারি অনুমোদন নেই। প্রায় ৫ একর অর্পিত সম্পত্তি দখল করে প্লট আকারে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে। এ নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় ভুগছে ভুক্তভোগীরা।
বসনিয়া হাটির মৌজার ভিপি কেস নং ৫৪৭/১৯৭৯ এস এ দাগ নং ৪১৯ এর ৪৯ শতাংশ পুরো জায়গাটাই অর্পিত সম্পত্তি। যা ‘নিমতলা আবাসন’ প্রকল্প ভরাট করেছে । অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ে জানতে চাইলে নিমতলা আবাসন প্রকল্পের চেয়ারম্যান নাছির আহমেদ বাবুলকে একাধিকবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। মেসেজ পাঠানো হলেও তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি ।
তবে কোম্পনীর সাথে জড়িত কেয়াইন ইউনিয়নের পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব অপরিচিত নাম্বারের ফোন রিসিভ করেন না, যদি | গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকে আমার কাছে বলতে পারেন অথবা চেয়ারম্যান সাহেব | আমাদের প্রজেক্টে যখন আসে তখন আপনাকে ফোন দিলে আসবেন সে কথা বলবে ।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি এলাকার মুখোশধারী ভূমি দস্যুদের চোখ পড়েছে। উজাড় করে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের ফসলি জমি। এইসব কালো থাবা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আশ্রাফ আলী জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট তাদের দেওয়া হয়েছে। তবে বসনিয়া হাটি মৌজায় অনেক অর্পিত সম্পত্তি আছে। ওই সম্পত্তি কোম্পানী ভরাট করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার জানান, অর্পিত সম্পত্তি ভরাট করার কোন নিয়ম নাই। যদি কেউ অর্পিত সম্পত্তি ভরাট করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।