ঢাকা , শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন: প্রেস সচিব নওগাঁর মহাদেবপুরে বিএনপি’র কর্মীদের লিফলেট বিতরণ ৭ গোলের ম্যাচে হংকংয়ের কাছে বাংলাদেশের হার রাণীশংকৈলে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত। ফরিদগঞ্জে আলহাজ্ব এম এ হান্নানকে ধানের শীষের প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে উপজেলা ও পৌর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের গণমিছিল জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ ঘোষণা, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা দেবিদ্বারে মাদক সেবনের দায়ে দীপংকরের কারাদণ্ড চানখারপুল হত্যাযজ্ঞ: সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আশুলিয়ায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্প সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও একটি বিদেশি অত্যাধুনিক শট গান সহ ৩ জনকে আটক করেছে RAW জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে : এম এ মালিক

নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ- সরকারের প্রেস উইং

সাংবাদিক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবিদার নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

বিবৃতিতে এ ঘটনাকে দেশের মূল্যবোধ, আইন ও সভ্য সমাজব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে সরকার দৃঢ় ভাষায় জানায়, এ ধরনের কোনো বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। জীবিত ও মৃত সবার মর্যাদা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সরকার আরও জানায়, এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই দায়মুক্তি পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও, ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে মর্যাদা, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় একদল লোক নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে এনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা দরবার শরিফ ও নুরুল হকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উঁচু করে এবং কাবা শরিফের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে তৌহিদি জনতার মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ ও উত্তেজনা ছিল। স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। তবে জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তৌহিদি জনতা এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৬২১ Time View

নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ- সরকারের প্রেস উইং

আপডেটের সময় : ০৩:১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবিদার নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

বিবৃতিতে এ ঘটনাকে দেশের মূল্যবোধ, আইন ও সভ্য সমাজব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে সরকার দৃঢ় ভাষায় জানায়, এ ধরনের কোনো বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। জীবিত ও মৃত সবার মর্যাদা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সরকার আরও জানায়, এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই দায়মুক্তি পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও, ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে মর্যাদা, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় একদল লোক নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে এনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা দরবার শরিফ ও নুরুল হকের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উঁচু করে এবং কাবা শরিফের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে তৌহিদি জনতার মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ ও উত্তেজনা ছিল। স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। তবে জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তৌহিদি জনতা এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়।