আজ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে অসন্তুষ্ট কিছু সেনা সদস্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকালে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে হাইকমিশনার এবং মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) নয়াদিল্লি ব্যুরো চিফ এবং ভারতের রাজধানীতে অবস্থানরত বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তারাও মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে চ্যান্সারির বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ও বাংলাদেশ মিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য পাঠ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ইমরান বলেন, আন্তর্জাতিক মর্যাদা, মহানুভবতা, পরার্থপরতা এবং অসামান্য ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুকে গত শতাব্দীর একজন কিংবদন্তি নেতাতে পরিণত করেছে। হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকেই সংগ্রামী জীবনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইমরান নতুন প্রজন্মকে মহান নেতার জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান যিনি দেশের উন্নতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন।
কর্মসূচির মধ্যে পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবস উপলক্ষে মিশন থেকে প্রকাশিত একটি বিশেষ প্রকাশনা বের করা হয়।
কলকাতা ও মুম্বাইতে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং আসামের গুয়াহাটিতে এবং ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে অনুরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।বাসস