রমজানে প্রয়োজনীয় সব পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশে রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের কোনো সংকট নেই। কিছু মহল সিচুয়েশন ডেসট্রয় করে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। তবে সরকার সচেষ্ট রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই, দরকার হলে সরকার কঠোর হবে। শাস্তি নেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।
মৎস ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, পাঁচ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় সরকার। কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, আর্থিক জরিমানা, ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিলের মত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই তবে কিছু মধ্যসত্বভোগীদের কারসাজির কারনে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। সরকার এ বিষয়ে অচিরেই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে লাইসেন্স বা ছাড়পত্র বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু ডলারের উপর নির্ভর করে বসে নাই। ডলার সংকট মোকাবিলায় মাল্টি কারেন্সি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন,গত বছেরের চেয়ে রমজানে প্রয়োজনীয় আটটি পণ্যের ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি খোলা হয়েছে। ডলার সঙ্কট নেই বলেই গতবারের চেয়ে বেশি পণ্যের এলসি খোলা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের খোলা বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।