পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন (রোববার) থেকেই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে । স্বপ্নের সেতু দেখতে ভিড় করছেন অনেকে। উৎসাহী লোকজনের মধ্যে নিয়মভঙ্গের ঘটনাও ঘটেছে। প্রথম দিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন।
এরপর সেতুতে যান চলাচলে ও নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষ যেন পদ্মা সেতুতে চলাচলের সময় নির্ধারিত আইন মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে সোমবার সকাল থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ নজর দিয়েছে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার সকাল থেকে সেতুতে মোটরসাইকেল প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হেঁটেও সেতুতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না লোকজনকে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাসদস্যদের টহল দিতেও দেখা গেছে। ।
রোববার পদ্মা সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ও অপরাধ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেতুতে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব করতে দেখা গেছে এক যুবককে। সেতুর নাট খুলে ফেলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আবার সেতুতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেও দেখা গেছে একদল লোককে।
মোটরসাইকেল আরোহীদের অধিকাংশই নির্দিষ্ট গতিসীমা মানেননি। এ কারণে দুর্ঘটনায় দুটি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেছে। এতে আইনশৃংখলা বাহিনীর তোড়জোড় বেড়েছে।
সেতুর ওপর কোথাও কোথাও গাড়ি থামিয়ে মানুষজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি তাদের সরিয়ে দিয়েছে।পুরো সেতু এলাকাতেই সোমবারের চেয়ে বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ এক গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেতুতে হাঁটাচলা বা ছবি না তোলার জন্য বিধিনিষেধ স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সেখানে বলা হয়, পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৬০ কিলোমিটার। সেতুর ওপর যানবাহন দাঁড়ানো যাবে না, যানবাহন থেকে নেমে হাঁটা বা ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। পায়ে হেঁটে বা সাইকেল, রিক্সায় সেতুতে ওঠা যাবে না। সেতুর ওপর কোন ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।