বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, কারা সাংবাদিক, তাদের যোগ্যতা কী হবে–এসব নিয়ে সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা শেষে নীতিমালা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাংবাদিক শুধু ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট নয়। সম্পাদক ও প্রকাশক, সবাই সাংবাদিকের আওতায় পড়বেন।
সোমবার শেরপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
নিজামুল হক আরও বলেন, দেশে অনেকে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন। কিন্তু অধিকাংশই নন-গ্র্যাজুয়েট। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পাস আছে। তার নিচেও আছে। কিন্তু পত্রপত্রিকায় লেখালেখিতে তারা বেশ ভালো। কাজেই তাদেরও সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র ছাড়া সাংবাদিক হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মুক্তাদিরুল আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সাংবাদিকতার নীতিমালা ও প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি নিয়ে বক্তব্য দেন কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান পাস হওয়ার মাত্র ১৪ মাসের ভেতরে ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রেস কাউন্সিল আইন করেন। এর মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকদের উঁচু স্তরে নিয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের জন্য সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করেছেন।