আব্দুল জব্বার, পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনায় পেয়াজের বাম্পার ফলনেও মন ভালো নেই কৃষকের। পাবনার বেড়া, সাথিঁয়া,সুজানগর উপজেলায় সর্বোচ্চ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। যার সিংহভাগ পেয়াজ বিক্রি হয় কাশিনাথপুর বাজারে।
আজ ১৭ এপ্রিল রবিবার কাশিনাথপুর বাজারে কাটি পেঁয়াজ ৫০০-৬০০ টাকায়, ফ্রেশ বাদাই পেয়াজ ১১০০-১৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
তবে এ দাম পেয়ে লোকসান এর সম্মুখীন কৃষক। গাজনার বিলের কৃষক মো. মোজাম্মেল হক বলেন – শ্রমিক, কীটনাশক, সার অনন্য খরচ হিসাব করলে প্রতিমন পেয়াজ এর উৎপাদন খরচ ১৫০০-১৬০০ টাকায় সেখানে পেঁয়াজ বিক্রি করলাম ৮০০ টাকায়। এভাবে চলতে থাকলে সংসার চালানো দায় হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম ঢাকায় রপ্তানি করা পেঁয়াজ ব্যাপারি জানান বাইরে থেকে পেয়াজ আমদানি করায় দেশি পেয়াজের দাম কম। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন সামনে আরো দাম বাড়বে।
এ বছর জেলায় হালি পেঁয়াজের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি পেঁয়াজ-১, কলসনগর, লালতীর কিং, হাই: লালতীর, হাই: ইস্পাহানী ও হাই মেটাল জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে, আর গত বছর আবাদ হয়েছিল ৪৪ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সুজানগর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ৫শ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। এছাড়াও সাঁথিয়ায় ১৫ হাজার ৭শ এবং বেড়া উপজেলায় ৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। আমাদের ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৩ হেক্টর জমিতে এবার চাষ হয়েছে। আর উৎপাদন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। বাজারে চাহিদা কম থাকায় দাম একটু নিম্নমুখি। তবে পেঁয়াজগুলো যদি সংরক্ষণ করে কিছুদিন পড়ে বিক্রি করে তাহলে কৃষকরা আরও ভালো দাম পেত।’