প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও শতভাগ ভোট পড়ে না। ৫০ শতাংশ ভোট গুডএনাফ। ৬০-৭০ শতাংশ হলে এক্সিলেন্ট। আমরা চেষ্টা করে যাবো।
বুধবার (২১ জুন) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা দিনভর নির্বাচন মনিটরিং করেছি। সকাল ৮টা থেকে শেষ পর্যন্ত। আমি বলবো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, আন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। আধাঘণ্টা প্রবল বৃষ্টির কারণে কিছুটা ব্যাঘাত হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যে কারণে সন্তুষ্ট বোধ করছি, কোনো রকম অপ্রীতকর ঘটনা ঘটেনি। যেটা নির্বাচনে প্রত্যাশা থাকে, ভোটার অবাধে এসে ভোট দিতে পারেন কি-না, সেই প্রশ্নে আমরা বলবো তারা এসেছেন। অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার খবর আমরা পাইনি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে নজর রাখছিলাম। সেখানে প্রতিবেদকরা অপ্রীতিকর ঘটনার কোনো সংবাদ দেননি। আমরা মনে করি সার্বিকভাবে আজকের নির্বাচন ভালো হয়েছে।
সিইসি বলেন, রাজশাহীতে আনুমানিক ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশ উপস্থিতি হয়েছে। সিলেটে কম-বেশি ৪৬ শতাংশ উপস্থিতি জানতে পেরেছি। কিছুটা হেরফের হতে পারে। বাসাইল পৌরসভা নির্বাচনও ভালো হয়েছে। ৭০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিলো।
রাজশাহীতে এক নারী বারবার গোপন কক্ষে প্রবেশ করায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আমরা তদন্ত করবো। সিসি ক্যামেরায় আমরা দেখেছি, একজন নারী একাধিকবার ভেতরে যাচ্ছেন। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আধাঘণ্টার মধ্যে জানতে পেরেছি বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট তাকে তিনদিনের সাজা দিয়েছেন। এটা একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে যে, ম্যালপ্র্যাকটিসের (অসদাচরণ) জন্য সাজা হতে পারে। তবে সহাকরী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেখলেন না কেন, আমরা সেটা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
সার্বিক মূল্যায়নের বিষয়ে সিইসি বলেন, সার্বিক মূল্যায়নটা হচ্ছে পাঁচটি নির্বাচন ভালো হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে উৎসাহিত করবে। ভোটারদের উৎসাহিত করবে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহবোধ করবেন। তারপরও ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতে দেখবো।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চত করে কিছু বলবো না। জিনিসটা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, যারা রাজনীতিবিদ, প্রার্থী হবেন, ভোটার- সবার মধ্যে একটা ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা সৃষ্টি হতে পারে। ভোটপ্রদান ও ভোটগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।