আব্দুল জব্বার (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ কমেছে পাবনার সাথিঁয়ার চাষিদের। গত দু’বছর পেয়াজ চাষে লোকসান হওয়ায় অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পেঁয়াজ চাষ থেকে। হালি পেয়াজের জমিতে অন্য ফসল ও মরিকাটা আবাদ করছে কৃষকেরা।
সাথিঁয়ার কাশিনাথপুর বরাট গ্রামের বাসিন্দা আক্কাস জানান গত দুবছর পেয়াজে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে সেজন্য এবার পেঁয়াজ লাগানো নিয়ে সংশয়ে আছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কৃষকেরা যে সকল জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করতো সে সকল জমিতে অন্য ফসল আবাদ করছে। কিছু জমি পতিত পড়ে থাকতে দেখা যায়।আক্কাস আলীর মতো অনেকে পেঁয়াজের আবাদ কমিয়ে দিয়েছেন। গত কয়েক বছরের লোকসান হওয়ায় অনাগ্রহী হয়েছে কৃষক। এছাড়াও এ বছর কৃষি পন্যের দাম বাড়ায় শঙ্কায় কৃষক। চাষ, সার,শ্রমিক,পানি, চাষ সবকিছুতে দাম বেড়েছে এবার, সেজন্য অনেকে পেঁয়াজ চাষ নিয়ে শঙ্কিত। সেজন্য এবার অন্য বছরের তুলনায় দুই থেকে তিন হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াজের আবাদ কম হবে বলে যানা যায়।
পেয়াজ চাষিরা বলছেন, সাধারণ দুই ধরনের পেঁয়াজ আবাদ করা হয় একটি হলো মুড়িকাটা ও অন্যটি হালি পেঁয়াজ।
গত কয়েক বছর আগাম মুড়িকাটার আবাদে লোকসানে আছে কৃষক। বর্তমানে মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাজার দর ৯০০-১০০০ যা কিনা কৃষকের খরচের টাকা উঠছেনা বলছে কৃষক। তারা বলছে শ্রমিক, সার, পানি সবকিছু মিলিয়ে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ অনেক, যে বাজার এতে করে আমরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছি।
সাথিঁয়ার কাশিনাথপুর গ্রামের কৃষক আকুব্বর বলেন গত বছর ৯ বিঘা জমিতে পেয়াজ আবাদ করেছিলাম কিন্তু এবার ২ বিঘা আবাদ করবো। একই এলাকার বাসিন্দা আরিফ জানান,গত বছরে ৫ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজ আবাদ করলেও এবার ১ বিঘায় করছি।
একই এলাকার বাসিন্দা মুন্নাফ বলেন, গত বছরে ১৫ বিথা জমিতে হালি পেঁয়াজ রোপন করেছিলাম এবার ৫ বিঘায় পেয়াজ লাগাইছি। পেয়াজে অনেক লস হয়েছে, গত বছরের পেঁয়াজ এখন ৩০-৪০ পেঁয়াজ এখনও ঘরে আছে।
সাথিঁয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব কুমার গোস্বামী বলেন, গত কয়েক বছর পেয়াজে লোকসান হওয়ায় কৃষক পেয়াজ রোপনে মুখ ফিড়িয়ে নিচ্ছে। এরপরও গত বছরের মতো লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সূত্রে যানা যায় এ বছরে (২০২২-২৩) ১৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে।গত বছর (২০২১-২২) অর্থ বছরে একই লক্ষ্য মাত্রা ছিলো। প্রতি বছর ক্রমান্বয়ে পেঁয়াজ লাগানোর আগ্রহ বাড়লেও এ বছর বাড়েনি পেঁয়াজ চাষ।